আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।যাদের ইচ্ছা মেডিকেল এ পড়ার তাদের জন্যই নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মেডিকেল এর জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।
মেডিকেল এ পড়ার জন্য প্রথমেই নিজের লক্ষ্যকে স্থির করতে হবে।যদি স্বপ্ন হয় মেডিকেল এ পড়ার তাহলে সব কিছু ভুলে এখন থেকেই পড়ায় বসে যাওয়ায় ভালো।মেডিকেল হল একটা বিশাল প্লাটফর্ম, এখানে পড়তে লাগে নিজের যোগ্যতা। যোগ্যতা ছাড়া মেডিকেল এ পড়া হয়ে ওঠে না।নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করেই এখানে যায়গা করে নিতে হয়।তাই স্বপ্ন পূরন করতে হলে সব কিছু ত্যাগ করে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে।আর ত্যাগ শিকার যদি না করতে পারো তাহলে মেডিকেল এ পড়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে তা আর বাস্তবে হয়ে উঠবে না মেডিকেল এ চান্সপাওয়া নিয়ে রয়েছে অনেক চাপ।তাই এই সকল চাপ উপেক্ষা করে মনমানসিকতাকে ঠিক রেখে যত দ্রুত সম্ভব কাজে লেগে পড়তে হবে।মেডিকেল এ রয়েছে অনেক পড়ার চাপ, কিন্ত সিলেবাসের তুলনায় রয়েছে সময় অনেক কম। তাই আগে থেকেই প্রিপারেশন নেওয়াই ভালো।অনেকেই জানে না কি পরিমাণ যোগ্যতার বিনিময়ে মেডিকেল পরিক্ষায় আবেদন করা যায়।তাদের জেনে রাখা উচিত এসএসসি ও এইচএসসি দুটো পরীক্ষা মিলে সর্বনিম্ন ৯.০০ পয়েন্ট লাগে
আসুন জেনে নিন কিভাবে প্রিপারেশন নিবেনঃ
যে সকল বিষয় এ পরিক্ষা হয়।
আসুন প্রথমে জেনে নেই কি কি বিষয় এ মেডিকেল এ এক্সাম হয়।জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, ইংরেজির জন্য ১৫, আর সাধারণ জ্ঞানে ১০ মার্ক এ এক্সাম হয়ে থাকে। তাই এ সকল বিষয় এ ভালো ভাবে জ্ঞানে অর্জন করে হবে।
মূল বই বা পাঠ্যবই পড়তে হবে।
পাঠ্যবই পড়তে হবে।পাঠ্যবই আয়ত্তে থাকলে কোথায় কি সমস্যা, কোন যায়গায় কমতি রয়েছে,সেই বিষয়গুলো সহজেই খুঁজে বের করা যাবে ।রসায়ন, পদার্থ মূলবই এ ভালো করে পড়তে হবে।বেসিক সব তথ্যই মূল এই পাওয়া যায়।
সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মেডিকেল এ সাধারণ জ্ঞান এর জন্য ১০ নম্বর থাকে।তাই সাম্প্রতিক যত খবর রয়েছে সব বিষয় এ জানতে হবে। পরিক্ষার ২/৩ মাস আগে ঘটে যাওয়া সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে।এজন্য কারেন্ট নিউজ পেপার পাওয়া যায় সেগুলো কালেক্ট করে পড়তে হবে।
আরো পড়ুনঃ বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন,জেনে নিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
মাথা ঠান্ডা রেখে পড়তে বসা।
মেডিকেল এ পড়াশোনার পরিমাণ অনেক। তাই সব সময় মাথা ঠান্ডা রেখে পড়ার প্রতি মনযোগী হতে হবে।যত ধরনের চিন্তা ভাবনা রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু পড়ার প্রতি কন্সেন্ট্রেশন নিয়ে আসতে হবে।এই সময়ে শুধু নিজের লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন এর চেষ্টা করতে হবে। তাই ছোট খাটো বিষয় এ মাথা গরম করা যাবে না।এই সময় এই ছোট-খাটো বিষয় গুলায় মাথার মধ্য ঘুরপাক খেতে থাকে।তাই সব সময় ঝামেলা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মাথা ঠান্ডা থাকলে পড়া খুব সহজেই মনে থাকে।
আরো পড়ুনঃবিখ্যাত ১০টি মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে জানুন!
বার বার অনুশীলন করা।
অনেকেই আছে যাদের একটা চেপ্টার পরলে অন্যটা ভুলে যায়।এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে সেই চেপ্টার গুলো বার বার অনুশীলন করতে হবে।অনুশীলন যত বেশি হবে পড়াগুলো তত বেশি মনে থাকবে।তাই সব সময় অনুশীলনের মধ্যই থাকতে হবে।
সময়ের সুষ্ঠ ব্যবহার করা।
সময় অনেক দামি।বিশেষ করে পরিক্ষার এক দুই মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে সবাই সবার সেরাটা দিয়ে সময়ের ব্যবহার করে।সকলেই পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। তাই ভালো কিছু করতে হলে সব কিছু ভুলে পড়াশোনায় সময় ব্যয় করতে হবে।
নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
নিজেকে সব সময় সুস্থ রাখতে হবে।সুস্থ না থাকলে ভালো ভাবে প্রিপারেশন গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।তাই সুস্থতা খুবই জরুরি। এই সময়ে বাইরে যাওয়া কমায় দিতে হবে,যে সকল খেলায় ঝুঁকি রয়েছে সেই সকল খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরিক্ষার আগে অনেকেই অনেক পরামর্শ দেয়।এত সকল পরামর্শ গ্রহণ না করে পড়াশোনা প্রতি সবসময় ফোকাস করতে হবে।অনেকে প্রশ্ন ফাসের আশা করে, এই সকল বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে।যে কেও পরিক্ষার আগে কোনো প্রশ্ন দিলে সেটায় সময় না দিয়ে নিজের প্রিপারেশন সম্পূর্ণ করতে হবে।তাই ভালোমত প্রিপারেশন নিন নিজের সপ্নকে পূরন করুন।