আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর পক্ষ থেকে স্বাগতম।
আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি বিষয় নিয়ে। আজকে আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের বিখ্যাত সকল আমের জাত সম্পর্কে।
ফলের রাজা হলো আম। আমের সিজিন আসলো, আর আম খাব না এমন টা কখনো হতেই পারে না। আমের বাজারে আসলেই দেখতে পাওয়া যায় হরেক রকম আমের ছড়াছড়ি। আমে ভর্তি দোকান গুলো৷
যখন আমরা আম কেনার জন্য বাজারে যায় , তখন আমাদের পক্ষে বুঝে ওঠা মুশকিল হয়ে পড়ে, কোন আম কিনবো। কোন আমের স্বাদ বেশি। তাই এত আম থেকে ভালো আম কিভাবে নেবো এটা নিয়েই পড়তে হয় অনেক সমস্যায়। এই সমস্যায় না পড়ার উপায় হলো আমের জাত সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখা।
তাহলে বাজারে গেলে সেই আমটিই খুব সহজেই কিনে নিতে পারবেন। আপনাদের এই বিষয় এ সম্পূর্ণ ধারণা ও আইডিয়া দেওয়াই হলো এই আরটিকেল এর উদ্দেশ্য। তাই আমের জাত গুলো চেনার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
আমের মোট জাত সংখ্যা
বিশেষ এক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রায় ১৭০০ টি জাতের আম ছিল। দিন বদলের সাথে সাথে অনেক জাতের আম হারিয়ে গিয়েছে।
এর মধ্যে এখনো প্রায় ১০০০ হাজারের বেশি আমের জাত বিদ্যমান রয়েছে। প্রতিটি আমের জাত একে অপরের থেকে আলাদা, যে কারনে স্বাদ, আকার, রঙ সব কিছুতেই রয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন।
আমের সেরা জাত সমূহ
বাংলাদেশে এখন পযর্ন্ত ১০০০+ জাত রয়েছে। তাহলে আপনি এত গুলো জাতের মধ্যে কোন গুলো ভালো জাতের আম কিভাবে চিনবেন এটাই হলো মূল বিষয়। তাহলে চিন্তার কিছু নেই। এখন আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে কিভাবে ভালো জাতের আম চিনবেন এবং জাতের নাম সমূহ গুলো।
তাহলে চলুন একে একে জেনে নেয় বিখ্যাত আমের জাত গুলো সম্পর্কে।
গোপালভোগ আম
আপনি যদি বিখ্যাত আমের নাম জানতে চান, তাহলে প্রথমেই যে নামটি আসে তা হলো গোপালভোগ আম। এটি খুবই রসালো ও মিষ্টি আম। আমের গন্ধে যেন মন ভরে যায়।
আমের সিজিন শুরু হওয়ার শুরুতেই পাওয়া যায় এই আম টি। এর আকার বিবরণ দিতে গেলে, এটি দেখতে মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। পেকে গেলে হলুদ রঙ ধারণ করে। কিন্তু পুরোপুরি হলদে হয় না। এর কিছু অংশ হালকা সবুজ থেকে যায়। এটি দেখতে যেমন রসালো ঠিক তেমনি খেতেও অনেক স্বাদ। তাই বাজারে যারা আম কিনতে যায়, তারা প্রথমেই এই আমটির খোঁজ করে থাকে।
আপনারা না খেয়ে থাকলে একবার এই ফলের স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন। আশাকরি আপনাকেও অনেক ভালো লাগবে।
আম্রপালি আম
সকলেই এই আমের সাথে পরিচিত। সকলের পছন্দের একটি জাত হলো আম্রপালি। এই আমটি এতটাই জনপ্রিয় যে এটিকে আমের রানি ও বলা হয়ে থাকে।
আম্রপালি নাম উদ্ভব হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি সুন্দর ঘটনা। যে ঘটনাটির পরি প্রেক্ষিতে নাম রাখা হয় আম্রপালি। ঘটনাটি হলো প্রাচীন ভারতবর্ষে একজন অসাধারণ প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী ছিল, তার প্রতিভার স্মরণে এই আমের নাম রাখা হয় আম্রপালি।
আম্রপালি আম খেতে খুবই মধুর। আমটি বেশ বড় আকারের হয়ে থাকে না ।আমটি পাকা অবস্থায় এর স্বাদ অতুলনীয়। এই আমটি খাওয়ার জন্য খুবই ভালো, গাছ থেকে পেরে কাঁচা অবস্থায় রেখে দিলে অনেক দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। তাই আপনারা চাইলে এই জাতের আম কোনো সন্দেহ ছাড়া কিনে নিতে পারেন।
ক্ষীরশাপাতি আম
ক্ষীরশাপাতি আম কে হিমসাগর আম ও বলা হয়ে থাকে। আমের স্বাদ অনেক ভালো। আম পাকা অবস্থায় গাড় সবুজ থেকে হালকা সবুজ হয়ে থাকে৷ আম গুলো দেখতে খুব বড়ও হয় না আবার খুব ছোটও হয় না। ঠিক মাঝামাঝি আকারের হয়ে থাকে। আম দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি খেতেও তেমনি মজার৷
তাই বাজারে গেলে এই আমটি কিনে নিয়ে আসতে পারেন। আশাকরি পরিবারের সকলের পছন্দ হবে।
ল্যাংড়া আম
ল্যাংড়া আম আকারে মাঝারি ও বড় হয়ে থাকে। এর গঠন হালকা লম্বা থেকে গোল আকারের হয়ে থাকে। আম কাঁচা অবস্থায় ভর্তা খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী। কাচা অবস্থায় খেতে ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু পাকা অবস্থায় আমটি খেতে খুবই মজার ও স্বাদ যুক্ত। তাই আপনারা চাইলে এই আমটিও খেতে পারেন।
হাঁডি ভাঙা আম
আমের সিজিন এ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় এই আমটি। আমটি আকারে বড় হয়ে থাকে। কাঁঁচা ও পাকা অবস্থায় আমটি খেতে খুবই মজার।
এই আম দিয়ে আপনারা জুস বানাতে পারবেন ভাতের সাথেও এই আম খেতে পারবেন। আমটি খুবই রসালো ও মিষ্টি। তাই বাজারে এটিও হতে পারে আপনার প্রথম চয়েজ।
গুটি আম
গুটি আম বলতে বুঝতে পারছেন ছোট আকৃতির আম। এই আমটি আকারে ছোট। এর আশঁ হালকা পাতলা। পাঁকা অবস্থায় আমটি খেতে অনেক ভালো। আপনি চাইলে এই জাতের আমও নিতে পারেন।
সূর্যাপূরি আম
সকল বিখ্যাত আমের মত আরেকটি আম হলো সূর্যাপূরি আম। সবুজ বর্নের এই আমটি পাকা অবস্থায় হলদে আকার ধারণ করে। বাজারের অন্যতম আকর্ষণ হলো সূর্যাপূরি আম। বাজারে অনেক সময় পর্যন্ত মজুদ পাওয়া যায় এই আমটি। তাই চাইলে এই আমটি স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন। আশাকরি আপনাদের ভালোই লাগবে।
এখন আপনাদের জানাবো কয়েকটি আমের জাত সম্পর্কে।
- আম্রপালি
- গোপালভোগ
- হাড়িভাংগা
- গুটি
- ল্যাংড়া
- মোহনভোগ
- দুদকুমারী
- হিমসাগর
- গোল্লাছুট
- রাখালভোগ
- তোতাপুরি
- ফজলি
- ক্ষীরমন
- দিলশাদ
- কিষানভোগ
- সূর্যাপূরি
- রংভিলা
আমাদের শেষ কথা
উপরে যে সকল আমের নাম দেওয়া হয়েছে, প্রত্যকটি আম ঐ খুবই সুস্বাদু। তাই আপনারা চাইলে যেকোনো আম খেয়ে দেখতে পারেন৷ আশাকরি আপনাদের সকল আম গুলোই ভালো লাগবে।
আশাকরি আপনারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত আমের জাত গুলো সম্পর্কে।
আজ এ পর্যন্তই। আমাদের আরটিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।
#নিজস্ব প্রতিবেদন