হ্যালো বন্ধুরা, সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ ২৪ মিডিয়া এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনারা সকলেই জানেন গোটা পৃথিবীই এখন ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যে কোন কাজ করতে ব্যবহার করতে হচ্ছে ইন্টারনেট। কাজের দ্রুততার জন্য সকলেই কম্পিউটার সহ সকল লেটেস্ট টেকনোলজি ব্যবহার করছেন।এত সব কিছুর আবিষ্কারের ফলে অনেকেই এটিকে অন্যর ক্ষতি করতে ব্যবহার করছে।মানুষের নিরাপত্তা আর নিরাপদ থাকছে না।এতে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার।আজ এমনি একটি সমস্যার বিষয় তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে। আজকের আরটিকেলটি হল বাংলাদেশ ও সাইবার নিরাপত্তা হ্যাকিং। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয় যাক।
সাইবার ক্রাইম কি
প্রথমেই যেটা সকলের জানা প্রয়োজন সেটি হলো সাইবার ক্রাইম আসলে কি।
ক্রাইম এর অর্থ হলো অপরাধ। সাইবার ক্রাইম হলো কম্পিউটারে রাখা তথ্য গুলোকে চুরি করা,কপি রাইট করা,হ্যাকিং করা,সহ এমন কাজ করা হলে তাকে সাইবার ক্রাইম বলে।বিভিন্ন অপরাধের মত এটিও একটি বড় অপরাধ।
সাইবার ক্রাইমে বাংলাদেশ
সাইবার ক্রাইম এখন প্রতিদিনের ডেইলি নিউজ এর মতই ঘটছে।বাংলাদেশ ও এই ক্রাইম থেকে পিছিয়ে নেয়। বিভিন্ন ধরনের ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের তরুন তরুণীরা।সাইবার আপরাধে যে সকল কাজে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ তরুণীরা তার মধ্য উল্লেখযোগ্য অপরাধ গুলো হলো জুয়া,পর্নোগ্রাফি,মানব পাচার, ব্লাকমেইলিং,টাকা চুরি করে নেওয়া সহ আরো বিভিন্ন অপরাধ দেখা যায়।বর্তমান সময়ে মানুষ ইন্টারনেটের উপর প্রচুর নির্ভরশীল হচ্ছে, যারা এই সব খারাপ কাজ করে তারা ইন্টারনেটে বিভিন্নভাবে ফাঁদ তৈরি করে রাখছে।বিশেষ করে তরুন তরুণীরা এই সকল ফাঁদে পড়ছে। বাংলাদেশেও সাইবার ক্রাইম আপরাধ হুমকির মুখে।সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে অনেকে নিজের মুখ সমাজে দেখাতে পারে না। বাংলাদেশে ব্লাকমেইল এর ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যায়। সাইবার ক্রাইম আপরাধিরা তারা বিভিন্ন মানুষের পারসোনাল সব কিছুই নিয়ে নেয়। যে কারনে এখানে থাকা পারসোনাল ভিডিও থেকে শুরু করে ব্যংক একাউন্ট ফেসবুক একাউন্ট সব কিছুই একসেস করতে পারে।এই সকল কিছু অনলাইনে ভাইরাল করে দিচ্ছে নইলে এই সকল কিছু ফেরত দিতে টাকা জরিমানা করছে। এই সকল কারনে অনেক মানুষ অসময়ে মৃত্যু বরন করতে বাধ্য হচ্ছে।
সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ
সাইবার ক্রাইম যেহেতু আনলাইনের মাধ্যমেই ঘটে, তাই অনলাইনে যেকোনো কিছু ব্যবহার করতে নিজেকে সব সময় সর্তক থাকতে হবে। অনলাইনে হ্যাকাররা সব সময় হ্যাকিং করার জন্য ব্যস্ত থাকে।মানুষকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে।যুক্তরাষ্ট্র তারা তাদের কম্পিউটারের তথ্য সুরুক্ষার জন্য এক যুগে প্রায় ১০০+ বিলিয়ন ডলারের ও বেশি ব্যয় করেছেন।তাই তথ্য ব্যবহার এ খুবই সর্তকতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।আসুন কিছু মাধ্যমে জেনে নেয় সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধর।
আরো পড়ুন:http://ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ জেনে নিন
যেমন প্রথমত ফোনো কোনো কিছু একসেস করতে ইমেইল ব্যবহার করতে হয়, যে কারনে কোনো সাইটে বা আ্যপ এ প্রবেশ করতে গেলে প্রথমেই আকসেপ্ট করতে বা আ্যলো করতে বলে। আ্যলো করার সময় অবশ্যই কি জন্য আ্যলো করছেন সেই বিষয় এ আগে জেনে বুঝে প্রবেশ করবেন।যেকোনো একাউন্ট এর জন্য জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।হ্যকার আপনার তথ্য চুরি করার জন্য আপেক্ষা করে আছে তাই নিজের তথ্য গুলো সুরক্ষায় রাখুন।সব সময় লেটেস্ট টেকনোলজি ব্যবহার করুন।আপনার ফোনো অস্বাভাবিক কিছু হলে সেই সকল বিষয় এ লক্ষ রাখুন।
সাইবার ক্রাইম শাস্তি
সাইবার ক্রাইম এ কেও ধরা পরলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এই শাস্তি হলো সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড। সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড। সাথে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়ে থাকে।তাই আমদের এই সকল আপরাধ বিরত থাকা প্রয়োজন।
সাইবার ক্রাইমের প্রকারভেদ
সাইবার ক্রাইম বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে যেমনঃ-
১.হ্যাকিং
২.সাইবার ফ্রড
৩.কপি রাইট
৪.স্ক্যামিং
৫.কম্পিউটার ভাইরাস
৬.রেনসোমোয়্যার
৭.পিষিং
৮.সফটওয়্যার প্রাইভেসি
সাইবার ক্রাইম মামলা করার নিয়ম
সাইবারে হয়রানি থেকে শুরু করে অনলাইনে যেকোনো কারনে ক্রাইমের শিকার করা হলো আপনি মামলা করাতে পারবেন।দিন দিন যেহেতু এর সংখা বেড়েই চলেছে তাই এই জন্য মামলা করার ও অধিকার রয়েছে। আপনি যদি সাইবার ক্রাইম এ মামলা করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার যে সকল বিষয় প্রয়োজন হবে তা হলো প্রমান সংগ্রহ করা।প্রমান ছাড়া আপনি কোনো মামলায় কোনো ফল পাবেন না।যে কারনে প্রথমে আপনারা যে কারনে ক্ষতির শিকার হয়েছেন তার প্রমান গুলো একত্রিত করুন।পারলে সব কিছুই প্রিটাররের মাধ্যমে বের করে ফেলুন।যে সকল লিংক, ভিডিও সব কিছুই যোগাড় করে রাখা। এই সকল কিছু প্রস্তুত করা হয়ে গেলে, নিকটস্থ থানায় গিয়ে এজাহার করা বা মামলা দায়ের করা।বিভিন্ন ক্ষেত্রে যদি থানায় মামলা না গ্রহণ করা হয় তাহলে আপনারা আইনজীবীর সহায়তা গ্রহণ করে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করতে হবে। ঢাকায় মেট্রপলিটনে হেডকোয়ার্টার এ সাইবার আপরাধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আপনারা সেখানেও মামলা করতে পারবেন।
শেষ কথা।
এই সকল কাজে আমরা যেন জরিত না হয়। আশেপাশে কেও এমন থাকলে তাকে সর্তক করি অথবা পুলিশকে এই বিষয় এ অবগত করি।আইনের বিরুদ্ধে যেকোনো কাজই আপরাধ, তাই যত বেশি সম্ভব এইসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।