হ্যালো বন্ধুরা। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনাদের সকলকে জানায় Dailynews24media এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। প্রতিদিনের মত আজকে আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি বিষয় নিয়ে। আজকের বিষয় হলো “সেরা ভিডিও ইডিটর আ্যপ”।

ভিডিও ইডিটিং এ তারাই দক্ষ হয়ে ওঠে যারা ভিডিও ইডিটিং করতে পারে। আপনি যেহেতু সেরা ভিডিও ইডিটিং অ্যাপ সম্পর্কে জানতে এসেছেন, তাহলে বোঝায় যাচ্ছে আপনার মাঝে ভিডিও ইডিটিং এর চাহিদা রয়েছে । তো বন্ধুরা আপনারা একদম সঠিক যায়গায় এসেছেন। আমরা আজকে জানাবো বর্তমান সময়ের সেরা ভিডিও ইডিটর আ্যপ গুলো সম্পর্কে। যেগুলো বর্তমান সময়ে সকলেই ব্যবহার করছে।

বিভিন্ন প্রয়োজনেই আমারা ভিডিও ইডিট করে থাকি। ভিডিও ইডিটিং এখন একটি প্রফেশন হয়ে উঠেছে। বর্তমান যুগে যে যত বেশি ভালো ভিডিও ইডিটিং করতে পারছে, তার ভিডিও মানুষ তত বেশি দেখছে।

ভিডিও ইডিটিং করে মানুষ নিত্যনতুন কন্টেন্ট তৈরি করছে। যে যত সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করছে তার ভিডিও এর পপুলারিটি তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মানুষ প্রতিদিন ই নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চায়। যে কারনে ভিডিও বানানোর পরে ভিডিও তে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড, ফিচার, কালার, স্পিড আরো অনেক কিছু যুক্ত করার লাগে। আর এই সকল কাজ করা হয়ে থাকে, ভিডিও ইডিটর আ্যপ এর মাধ্যমে। তাই এখজন ভালো ও দক্ষ ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে ভিডিও ইডিটর এ থাকতে হবে বিশাল দক্ষতা।

তাই ভিডিও মেকার দের জন্য প্রয়োজন হয় সেরা ভিডিও অ্যাপ গুলো। যেগুলোর মাধ্যমে তারা সহজেই ভিডিও ইডিটর এর কাজ করতে পারে। যে যত ভালো ইডিটর অ্যাপ ব্যবহার করবে তার ভিডিও ইডিটিং ও তত সুন্দর হবে। তাই আমাদের বেস্ট ভিডিও ইডিটর আ্যপ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।

ভালো ভিডিও ইডিটর আ্যপ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি যদি ভিডিও ইডিটিং এ নতুন হয়ে থাকেন, তাহলেও খুব সহজেই ভিডিও ইডিটিং করতে পারবেন। বেশ কিছুদিন চর্চা করার মাধ্যমে হয়ে উঠবেন দক্ষ ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বর্তমান সময়ের ব্যবহৃত সেরা ভিডিও অ্যাপ গুলো সম্পর্কে।

  • আমরা ভিডিও ইডিটিং এ যে সকল কাজ করে থাকি সেগুলো হল, ভিডিও তে টেক্সট লিখতে পারা, ভিডিও এর মাঝে অরজিনাল সাউন্ড এর পাশাপাশি ব্যকগ্রাউন্ড সাউন্ড যোগ করা, thumbnail দেওয়া, ভিডিওর মাঝে হেডলাইন যোগ করা, ইচ্ছামত ভিডিও ইফেক্ট গুলো ব্যবহার করা, ভিডিও ক্রপ করা, বা দুই তিনটে ভিডিও একসাথে যোগ করা ইত্যাদি আরো যেসকল কাজ লাগে আপনারা আমাদের দেওয়া অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন।

ভিডিও কন্টেন্ট

ভিডিও ইডিটিং এ যদি একজন দক্ষ ভিডিও মেকার হতে পারেন। তাহলে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন । বর্তমান সময়ে একজন ভিডিও কন্টেন্ট মেকার গুলো অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে কাজ করছে। বিভিন্ন সাইটে আইডি খুলে সেখানে দর্শকদের মন জয় করা ভিডিও উপহার দিয়ে ইনকাম করছে সহজেই। যেমন, ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সাগ্রাম, টিকটক, লাইকি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম এ ভিডিও তৈরি করে প্রচুঁর টাকা ইনকাম করছে।

আরো পড়ুনঃ খুব সহজেই কম্পিউটার টাইপিং শিখবেন কিভাবে,জেনে নিন!

এই ভিডিও গুলোকে মানুষের মনে আকৃষ্ট করার অন্যতম উপায় হলো সুন্দর করে ভিডিও ইডিটিং করা। যেটি আমরা ভিডিও ইডিটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে করে থাকি। তাই আমারা সেরা ভিডিও অ্যাপ গুলো এই কাজ সহজেই করতে পারি। আমরা যাদের ভিডিও কন্টেন্টার বলে থাকি তারা সবাই ভালো ভালো অ্যাপ এ ভিডিও ইডিটিং করার মাধ্যমই এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে।

সেরা ভিডিও ইডিটর আ্যপ

ভিডিও ইডিটিং খুব সহজ একটি কাজ নয়। আবার ভিডিও ইডিটিং একবার শিখে গেলে এটা আবার কোনো কঠিন কাজও নয়। তাই আমরা যারা নতুন আছি তারা যদি প্রথমেই সঠিক গাইলাইন পাই তাহলে আমরাও খুব অল্প সময়েই একজন ভালো ভিডিও ইডিটর হতে পারবো। তাই আমাদের প্রয়োজন বেস্ট বা সেরা অ্যাপ গুলো সম্পর্কে জানা। যেগুলো ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই মোবাই ও পিসিতে বসেই ভিডিও ইডিটিং করতে পারবো।

সেরা ভিডিও ইডিটর আ্যপ গুলো হলো

  • Video maker Music video Editor
  • Kinemaster
  • PowerDirectore
  • Inshot
  • Capcut
  • Video Editor – Glich video

Video Maker Music Video Editor

বর্তমানে সময়ের সব থেকে বেশি ও বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় ভিডিও ইডিটিং অ্যাপ হলো Video Maker। যারা ভিডিও নিয়ে কাজ করেন কন্টেন্ট তৈরি করে থাকেন আপনারা যদি এই অ্যাপ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজি একবাব ডাউনলোড করে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

এখান যে সকল সুবিধা পাবেন- এখানে আপনারা পাবেন ভেরাইটিস টাইপের ফিচার, সাথে থাকছে ভিডিও স্লো করা স্পিড করার দারুন এর উপায়, নানান ধরনের স্টিকারের সমাহার, ভিডিও এর সাইজ কমা বাড়ার সিস্টেম, আপনি কোন মোড এ আপনার ভিডিও টি চান, তার দারুন এর সিস্টেম। চাইলেই করতে পারবেন HD ভিডিও ও লোব কোয়ালিটি ভিডিও।

KineMaster

সহজেই ব্যবহার যোগ্য একটি অন্যতম অ্যাপ হলো Kinemaster। ভিডিও ইডিটর এর একটি অন্যতম সফটওয়্যার। এটি আপনারা ছোট-বড় সকল ফোনেই খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা ফোন যদি পুরাতন হয়ে থাকে এবং র‍্যাম কম হয়ে থাকে তবুই ও আপনারা এই অ্যাপটটি তে কাজ করতে পারবেন।

যে সকল সুবিধা পাচ্ছেন- এখানে ভিডিও ইডিটিং এর সকল কিছুই রয়েছে, ভিডিও যুক্ত করা থেকে শুরু করে নানান ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। আপনাদের ভিডিও ইডিটিং করতে যা প্রয়োজন সকল কিছুই এই অ্যাপেই আপনারা পেয়ে যাবেন।

Power Director

সুন্দর ভাবে ভিডিও তৈরি করার অন্যতম আরেকটি অ্যাপ হলো Power Director। এটিও একটি বহুল জনপ্রিয় এরটি অ্যাপ। এখন পযর্ন্ত এই অ্যাপটি মোট 100+ মিলিয়ন এর উপরে ডাউনলোড হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এটি কতটা জনপ্রিয় আ্যপ।

যে সকল সুবিধা পাচ্ছেন- এটাতে আপনারা পাবেন ভিডিও ইডিটিং এর পাশাপাশি ভিডিও তে ব্লার করার সুবিধা, একসাথে নানান ধরনের ফিচার, ইডিটিং অপশন ইত্যাদি।

Inshot

Inshot ভিডিও ইডিটর এর খুব সুন্দর একটি সফটওয়্যার। খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি একটি। এখন পযর্ন্ত এই আ্যপটি ডাউনলোড হয়েছে মোট ১০০+ মিলিয়ন এর বেশি বার। এটি স্পেস ও খুব কম। মাত্র ৪৩ এমবি। তাই আপনারা মোবাইলে ভালো ভবে ভিডিও ইডিট করতে সহায়তা করবে।

যে সকল সুবিধা পাচ্ছেন- ভিডিও গুলো দারুন ভাবে ডিজাইন করার সিস্টেম, একসাথে অনেক ভিডিও প্লে হওয়ার সিস্টেম। ভিডিও তে স্পিড কমা বাড়া,ও রয়েছে নানা ধরনের ভিডিও অ্যানিমেশন।

CapCut

ভিডিও ইডিটিং এর একটি দারুণ অ্যাপ এটি। খুবই জনপ্রিয়তা আছে এই অ্যাপ এর। তাই আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশাকরি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

আপনাদের এতক্ষন যে সকল অ্যাপ এর কথা বললাম, এগুলো আপনারা সবগুলোই ফ্রি তে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই ইউটিউব বা অন্যান্য যেকোনো সোসিয়াল সাইটে ভিডিও ইডিটিং করে আপলোড করতে চাইলে, এই সকল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। মোটামুটি সকলেই এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করেই ভিডিও ইডিটর করে থাকে।

আমাদের শেষ কথা

আশাকরি আমাদের এই আরটিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে পারেন। আরো এমন নতুন নতুন আরটিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

লেখকঃ dailynews24media

ছবিঃ সংগ্রহীত