আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ ২৪ মিডিয়া এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।আজ আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের চলচিত্রের অন্যতম অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীকে নিয়ে।
বাংলাদেশে যারা নাটক দেখতে ভালোবাসেন, এমন কেও নেয় যারা মেহজাবিনকে চিনেন না।বাংলাদেশের প্রথম লেভেলের ক্যাটাগরির অভিনেত্রী হলো মেহজাবিন চৌধুরী।তার নাটক মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার ফলেই আজ তিনি এত বড় অবস্থান এ আসতে পেরেছেন। মেহেজাবিন চৌধুরী এর অভিনয় জগতে আগমন অনেক বছর আগেই।প্রায় এক যুগের ও বেশি সময় থেকে মানুষকে সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় নাটক উপহার দিয়ে যাচ্ছেন মেহজাবিন চৌধুরী। কিন্তু এত বড় অভিনেত্রী সম্পর্কে অনেকেই তার পথচলা ও তার বিষয় এ অনেক কিছুই জানেন না যেটি আজো অনেকের অজানা তথ্য হিসেবে রয়ে গেছে।তাহলে চলুন মেহজাবিন চৌধুরী সম্পর্কে জেনে নেয়।
মেহজাবিনের পথচলা
বাংলাদেশের প্রতিভাবান এই অভিনেত্রীর জন্ম সাল হলো ১৯ এপ্রিল ১৯৯১ সালে চট্রগ্রাম জেলায়। তার জন্ম বাংলাদেশে হলেও তার শৈশব কাটেনি এই দেশে।মেহজাবিনের মায়ের নাম ছিল গজলা চৌধুরী। তার বাবার নাম ছিল মহিউদ্দিন চৌধুরী। মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইসেন্স এর কর্মরত চাকুরীজিবী।যে কারনে বিভিন্ন কারনেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে তাদের পাড়ি দিতে হত।মেহজাবিন চৌধুরী এর জন্মের পর মহিউদ্দিন চৌধুরী তিনি তার সন্তানদেরকে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান।সেখানেই কাটে মেহজাবিন চৌধুরী এর শৈশব কাল। সেখানেই কাটে তার শৈশব কালের ১৬টি বছর। অতপর মহিউদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশে ফিরে আসেন।মেহজাবিন শৈশব কাল থেকেই অনেক প্রতিভাবান ছিলেন।তিনি দেখতে সুন্দর ও পরিপাটি হওয়ায়, তিনি শান্ত মরিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় এ ফ্যাশন ডিজাইনার নিয়ে পড়ালেখা করেন।প্রতিভা কখনোই লুকিয়ে থাকেনা, যে কারনে তিনি পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হন।ছোট থেকেই তিনি আস্তে আস্তে তার লক্ষের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন।তার ইচ্ছাই ছিলো তিনি একজন মডেল হবেন।
অভিনয় জগতে প্রবেশ করার প্রথম মাধ্যম ছিল সুপারস্টার প্রতিযোগিতা। ২০০৯ সালে তিনি সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন, যেখানে প্রতিযোগির সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের মত। কিন্তু তিনি সকলকে ছাপিয়ে সেই প্রতিযোগিতায় লাক্স চ্যানেল আই এর বিজয়ী হন।অর্থাৎ তিনি সেবার প্রতিযোগিতায় প্রথম হন।এর পর থেকে সকলের আলোচনায় আসেন মেহজাবিন চৌধুরী। তার অভিনয় করা প্রথম নাটক হলো তুমি থাকো সিন্ধুপারে। তার করা এই নাটকের পর থেকেই তিনি নিয়মিত নাটক করতে থাকেন।তাই বলায় যায় এই নাটকটি ছিল তার সকল নাটকের সূচনা।মেহজাবিন এর পরিবারে তার ভাইবোনের সংখ্যা মোট পাঁচ জন।এদের মধ্যে রয়েছে দুইজন ভাই ও তার রয়েছে দুইজন বোন।এদের সবার থেকে বড় হলেন মেহজাবিন চৌধুরী।
মেহজাবিন চৌধুরী এর ডাকনাম হলো জেনিফার, বা জেনি।
মেহজাবিন এর উচ্চতা বলতে গেলে তিনি ৫ ফুট ৩” লম্বা।তার কিছু পছন্দের বিষয় গুলো জেনে নিন। যেমন তার প্রিয় রং হলো বারগাডিং শরৎ বা আমরা যেটাকে পাতার রঙ বলে থাকি এটাই।তার প্রিয় ফল হলো ফলের রাজা আম।তার ওজন ৫৫ কেজির মতই।তিনি ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসেন আসহায় মানুষকে সাহায্য করেন।তার গায়ের রঙ হলো উজ্জল ফর্সা,তার চুল ও চোখ গারো কাল।তিনি এ পর্যন্ত বহু নাটক মানুষকে উপহার দিয়েছেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মেহজাবিন চৌধুরী এর বিখ্যাত কয়েকটি নাটকের নাম।
মেহজাবিন চৌধুরী উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটকের নাম হলো,
১.হাতটা দাও না বাড়িয়ে
২.বুকের বা পাশে
৩.বড় ছেলে
৪.আন্তনগর প্রেম
৫.তুমি আমি এবং আমরা
৬.মধ্য দুপুর
৭.ঢাকা টু দুবাই
৮.টম এন্ড জেরি
৯.ঘটক
১০.ব্যাক টু দ্যা পয়েন্ট
এখানে শুধু মাত্র কয়েকটি নাটকের নাম দেওয়া হল।তার অভিনয় করা নাটকের সংখ্যা অনেক। তার সকল অভিনেতার সাথেই সম্পর্ক ভালো যে কারনে সকলের সাথেই তিনি অভিনয় করে থাকেন।তার অভিনয় করা নাটকের মধ্য আরফান নিশো এবং অপূর্ব এর সাথে বেশি পরিমাণে অভিনয়ে কাজ করেছেন।
আরো পড়ুনঃ-মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবার উপায়।
মেহজাবিন চৌধুরী অনেক ছেলের পছন্দের একজন অভিনেত্রী। তার এখন পযর্ন্ত বিয়ে হয়নি।তার কিছুদিন আগে বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন হলেও ঠিক বিয়ে হয়ে ওঠেনি। তার বর্তমান বয়স ৩০ বছর।তার ইচ্ছা আছে যতদিন সম্ভব হবে তিনি অভিনয়।জগতে থাকবেন।তার অভিনয় করা প্রতিটি নাটক মানুষের মন ছুয়ে যায়।তিনি অভিনয় করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এ কাজ করেছেন। তার এই কর্মময় জীবনে অনেক সফলতা অর্জন করার ফলে বিভিন্ন সম্মাননা পুরাষ্কার পেয়েছেন।
শেষ কথা
বর্তমান সময়ের চলচিত্র জগতের এর অন্যন্য নাম হলো মেহজাবিন চৌধুরী।হাজারো ছেলের ক্রাশ হলেন তিনি। তিনি তার ক্যরিয়ার জীবন ফ্যাশন দিয়ে শুরু করায় আজ তিনি এত বড় একজন মডেল ও অভিনেত্রী হয়েছেন।তিনি লাখো দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তার যোগ্যতা দিয়ে।তিনি অনবরত কাজ করেই চলেছেন।প্রতিনিয়ত তিনি নতুন নতুন নাটক তৈরিতে কাজ করছেন।আমরা চায় তিনি আরো এভাবেই আমাদেরকে নিত্য নতুন নাটক উপহার দিবে।আজ এ পর্যন্তই আশাকরি আপনারা মেহজাবিন চৌধুরী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন।আরো এমন নতুন নতুন আরটিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।