আপনি যদি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে,এটি আপনার জন্যই।
শরীর এমন একটি বিষয় যেটি দুর্বল হয়ে পরলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না।এ পৃথিবীতে সকলেই সুস্থতার সাথে বাঁচতে চায়।স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মূল।স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা।তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীরের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এ পৃথিবীতে যাদের অনেক টাকা-পয়সা আছে কিন্তু তাদের যদি শরীর সুস্থ না থাকে,তাখন এই টাকা পয়সা কোনো কিছুই ভালো লাগেনা।তখন সে শুধু সুস্থ হওয়ার কামনা করে।

মানুষ বিভিন্ন কারনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেনা।তাহলে আসুন জেনে নিই, কি কি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়।

স্বাস্থ্য ভালো রাখার বেশ কয়েকটি কার্যকরী উপায় রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ

সুষম খাবার খাওয়া।

সুষম খাদ্য বলতে খারারের তালিকায়
শর্করা, আমিষ, স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি এই সকল উপাদান থাকলে উপস্থিত থাকলে তাকেই সুষম খাদ্য বলে।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন,প্রটিন,আমিষ,স্নেহ,খনিজ লবন,পানি প্রয়োজন।এত সকল ভিটামিন জাতীয় উপাদান ১/২ টি নিদ্রিষ্ট খাবার থেকে পাওয়া যায় না।তাই যখন আমরা খাদ্য গ্রহণ করবো তখন খাবারের মধ্যে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার তালিকা রাখতে হবে।
যেন প্রতিদিনের খাবারে এই সকল খাদ্য উপাদান থাকে তাই,খাদ্যর পিরামিড অনুসরণ করে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সুস্থ থাকতে হলে নিরাপদ পানির কোনো বিকল্প নেই।মানব শরীরে ৭০ ভাগই হলো পানি।শরীরে নিরাপদ পানির ঘাটতি হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণের ফলে শরীরের অনেক উপকার হয়।যেমন শরীর গঠন করতে,মাথা ব্যাথা কমাতে,হারে জোর বারাতে,আরো অনেক উপকার করে থাকে।পানি পান করা ছাড়া কেও বাঁচতে পারে না।তাইতো বলা হয় পানির অপর নাম জীবন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো।

ঘুম মানুষের একটি অপরিহার্য বিষয়।পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম একটি মানুষকে সুস্বাস্থ্য গঠন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তাই সুস্বাস্থ্য গঠনে নিয়মিত ঘুম খুবই প্রয়োজন।তাই প্রয়োজন একটি নিয়মিত ঘুমের রুটিন।অর্থাৎ কোনো দিন ৬ ঘন্টা ঘুমানো আবার কোনোদিন ৯ ঘন্টা ঘুমানো এমনটা ঠিক নয়।নিয়মিত না ঘুমানোর ফলে নানা ধরনের সমস্যার দেখা দেয়।যেমন মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাওয়া,বিষন্নতায় ভোগা,শরীর গঠনে ব্যাঘাত ঘটা,তারুণ্যতা ভাব হারিয়ে যাওয়া সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়।তাই মনকে ভালো রাখতে
,নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।তাহলেই নিজেকে সুস্থ রাখা যাবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা।


ব্যায়াম প্রত্যেক মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যায়াম করলে শরীরে সকল অঙ্গ-প্রতঙ্গে রক্ত চলাচল ভালো হয়।শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে।শরীরের মেদ,ভুরি কমাতে সাহায্যে করে।তাছাড়াও ডাক্তারাও ব্যায়াম করতে বলেছেন,ব্যায়াম করার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ সমাধানে এটি সাহায্য করে,যেমন ডায়াবেটিস,স্ট্রোক,ক্যান্সারের মত রোগ কমাতে ব্যায়াম সাহায্য করে।তাই ডেইলি রুটিনে ব্যায়ামের জন্যও ১০/১৫ মিনিট রাখতে হবে।
সুস্বাস্থ্য গঠনে ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃজেনে নিন সুস্থ্য থাকতে ফলের উপকারিতা

নিজেকে খুশি রাখতে বেশি বেশি হাসতে হবে।

হাসি এটা মনের সাথে শরীরের সম্পর্ক।যারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত তাদের উচিত নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করা।মন ভালো থাকলেই শরীর ও ভালো থাকে।তাই বেশি বেশি করে হাসতে হবে।বিশেষজ্ঞদের মতে যেভাবেই মানুষ হাসোক না কেন,তা শরীরের জন্য উপকারী। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি হাসতে হবে।

অসুস্থ হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ।


শরীরে কোনো সমস্যার দেখা দিলে তা অবহেলা না করে, যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে।কারণ ছোট ছোট সমস্যা থেকেই বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়।তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এই সকল বিষয় মেনে চলতে হবে।

চর্বিযুক্ত খাবার না খেয়ে শাকসবজি খেতে হবে।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার শরীরের জন্য খুবই বিপদজনক।চর্বিযুক্ত খাবার শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা বাধতে সাহায্য করে।তাই চর্বিযুক্ত খাবার পরিমাণ মত খেতে হবে।শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ এ ভিটামিন থাকে তাই।নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

ফল খেতে হবে।

বিভিন্ন ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে।যা শরীরের ঘাটতি পূরন এ সাহায্য করে।ওষুধ খেয়ে যতই ভিটামিন এর অভাব পূরন করার চেষ্টা করুক না কেন ফলের মত ভিটামিন কখনোই পাওয়া যায় না।তাই ফল গ্রহণ ও জরুরি বিষয় সুস্থ থাকতে হলে।

সুস্থ দেহ সুস্থ মন পেতে হলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।স্বাস্থ্য ভালো নেই তো কিছুই ভালো নেই।তাই আমাদের সুস্থ থাকতে, এই সকল বিষয় ছাড়াও আরো অনেক স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে যা আমাদের মেনে চলতে হবে। তাহলেই আমরা নিজেদের কে সুস্থ রাখতে পারবো।নতুন নতুন আরো অনেক বিষয়ে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।