হ্যালো বন্ধুরা, সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের জানাবো ছেলে মেয়ে উভয়ের ই একটি কমন সমস্যার নিয়ে। উপরের টাইটেল দেখে নিশ্চয় বুঝেই গেছেন, আজ আপনাদের জানাবো ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে।
সকল মানুষেরই একটি কমন সমস্যা হলো মুখে ব্রণ ওঠা। বয়স বাড়তে না বাড়তেই মুখে মধ্যে ব্রণ ওঠা শুরু করে দেয়। কারো মুখে কম ব্রন উঠে আবার কারো মুখে অধিক পরিমানে ব্রণ। ব্রণ ওঠার ফলে সেই যায়গায় কালো কালো দাগ পড়ে যায়। যে কারনে মুখের ফেস নষ্ট হয়ে যায়।
এই সমস্যায় প্রায় সকল মানুষ পড়ে থাকেন। যেহেতু এটি একটি সমস্যা তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে। কিভাবে আপনার মুখের দাগ দূর করবেন, পড়ে গেছেন এই চিন্তায়, তাহলে বলবো ভয়ের বা চিন্তার কিছু নেয়। সমস্যা যেহেতু রয়েছে ঠিক এর সমাধান ও রয়েছে।
আজ আপনাদের গোটা আরটিকেল এ এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো। কিভাবে আপনারা ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। মুখের কালো দাগ কিভাবে সহজেই দূর করতে পারবেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা চলে যায় মূল টপিক এ।
কোন সময় থেকে মুখে ব্রণ ওঠা শুরু হয়।
ব্রণ ওঠা সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হয়ে থাকে।
ব্রণ কেন ওঠে এই বিষয়টি অনেকেই জানে না। ব্রণ ওঠার অন্যতম কারন হলো শরীরে যখন অতিরিক্ত পরিমানে হরমোন বৃদ্ধি পায়, ঠিক তখননি ব্রণ ওঠা শুরু হয়।
বয়ঃসন্ধিকালে একটি ছেলে ও মেয়ের শারীরিক গঠন হয়ে থাকে। যে কারনে এ সময়ে শরীরে অধিক পরিমানে হরমোন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আর এ কারনেই বয়ঃসন্ধিকালে থেকেই মুখে ব্রণ ওঠা শুরু করে।
তাহলে এখন নিশ্চয় জানতে পারলেন মুখে কোন সময় থেলে ব্রণ ওঠা শুরু করে।
ব্রণ কেন হয়ে থাকে
বিশেষজ্ঞ দের মতে নানান কারনে ব্রণ হয়ে থাকে, প্রথমত হরমোন বৃদ্ধির কারনে হয়ে থাকে।
তাছাড়াও মুখের অযন্ত নেওয়া, জীবানু দ্বারা আক্রমণ হওয়া, প্রচুর চিন্তা করা। চিন্তা করার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, অল্পতেই অতিরিক্ত পরিমানে ঘামে যাওয়া এই সকল কারনে মুখের মধ্যে ব্রণ হয়ে থাকে।
ব্রণ সমস্যার সহজ সমাধান
ব্রণ ওঠা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে ব্রণ ওঠা এটি একটি সমস্যা। তাই এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে আপনি কি করবেন এখন প্রশ্ন হলো এটাই।
তাহলে চলুন জেনে নেয় ব্রণ সমস্যার সহজ সমাধান গুলোঃ-
- আমরা সকলেই জানি ব্রণ মূলত মুখের ত্বকে হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারনেই আমাদের বাইরে যেতে হয়। ফলে ত্বকের মধ্যে ধুলোবালি জমে থাকে। মুখের ত্বক অপরিস্কার হয়ে যায়। সঠিক সময়ে মুখের যন্ত না নেওয়ার ফলে ত্বকে দেখা দিতে ব্রন এর সমস্যা। তাই সকলেই উচিত বাইরে বের হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা। একটি কথা মনে রাখা উচিত, পরিষ্কার ত্বকে সহজে ব্রণ সমস্যা দেখা দেয় না। তাই যত বেশি সম্ভব নিজের মুখের যন্ত নিতে হবে। দিনে বেশি বেশি করে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- গরম কালে বেশি বেশি করে পানি পান করবেন। কেননা গরমের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়, যে কারনে শরীরে পানির ঘাটতি ঘটে। পানির ঘাটতি হওয়ার ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে৷ অতিরিক্ত গরমে স্যালাইন ও লেবুর শরবত খেতে পারেন। যা শরীরের জন্য খুবই উপযোগী।
- বয়ঃসন্ধিকালে একটি ছেলে ও মেয়ের ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে থাকে। যে কারনে তারা শারিরীক ও মানসিক চাপে ভোগে। যে কারনে তারা নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় ভোগে। এই সমস্যার কারনে তারা পরিমাণ মতো ঘুমাতে পারে না। অধিক সময় জেগে থাকে। নিজের শরীরের যন্ত কিভাবে নেবে সে বিষয় এ ক্লিয়ার ধারণা থাকে না। তাই পুষ্টিকর খাবার তাদের খাওয়াও হয় না।এত সকল কারনের ফলে ব্রণ ওঠা শুরু হয়।
- শাকসবজি ও ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে৷ বাইরের খাবার শরীরের জন্য হাইজেনিক নয়। তাই যত বেশি সম্ভব বাইরের খাবার খাওয়া বর্জন করতে হবে৷ বাড়িতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খাবারের তালিকায় পুষ্টিগুন খাবার নির্বাচন করতে হবে৷
- সর্বোপরি যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হলো মুখের যন্ত অবশ্যই নিতে হবে। ত্বকের অযন্ত করা যাবে না। মুখের স্কিনে নানান ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না। মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ব্রণ হয়ে থাকে। তাই এই বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
- ত্বকে ব্রণ ওঠা শুরু করলেই আমরা সেটিকে খোটা দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু এই বিষয়টি মোটেই ঠিক নয়। ব্রণ ওঠলে মুখে কখনো খোটা মারা যাবেনা। এই সময়ে ব্রণে খোটা দিলে সেখান থেকে রক্ত বের হবে এবং কি সেই ব্রণটির একটি কালো দাগ পড়ে যাবে। তাই এই কাজ করা যাবে না।ব্রণ পেকে গেলে তখন এই কাজটি করা যাবে।
- মুখের দাগ ও ব্রনের সমস্যা অনেক বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ডাক্তার যে পরামর্শ দেন সেই অনুযায়ী চলতে হবে। এর ফলে অবশ্যই আপনার এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন। এই সমস্যার ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের ওষধি ক্রিম দিয়ে থাকেন, যেগুলোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হয়।
আমাদের শেষ কথা
আশাকরি আপনারা ব্রণ কেন হয় ও এর সমাধান কি এই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা নিতে পেরেছেন। আপনাআ যদি কোনো বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্য আমাদের কমেন্ট বক্সের জানাতে পারেন।
আপনাদের যদি এই আরটিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্য আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ এ পর্যন্তই। নতুন নতুন আরটিকেল পড়তে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।