স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে পৃথিবীর কোনো কিছুই ভালো লাগে না। তাই পৃথিবীর সবাই চায় স্বাস্থ্যবান হতে। সকলের শরীর একে অপরের থেকে আলাদা। তাই সকলের ই দেহের গঠন ও আলাদা। এদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা খুবই চিকন। ওজন খুবই কম। নিজের শরীর কে রোগা রোগা মনে হয়। আবার অনেকে খুবই মোটা। যে কারনে নিজের কাছে অস্বস্তি অনুভব হয়। তাই সকলেই চায় একটি ফিট ফাট বা পারফেক্ট শরীর পেতে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা কোনো ভাবেই চিকন থেকে মোটা হতে পারছেন না। তাদের জন্যই আজ বিশেষ কয়েকটি টিপস নিয়ে এসেছি। যেগুলো অনুসরন করলে আপনারা খুব সহজেই স্থায়ী মোটা হতে পারবেন।

তো বন্ধুরা চলুন জেনে নেয় মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে

সমস্যায় যেহেতু পড়েই গেছেন চিন্তার কিছু নেই। এর সমাধান ও রয়েছে। এখন আপনাদের মোটা হওয়ার টিপস গুলো বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে।

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে

আপনি যদি হন পাতলু, আর স্বপ্ন আপনার মোটা হওয়া। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হবে।

এখন আপনি তো জানেন না কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার আবার কোন গুলো। তাহলে আপনি কিভেব এই খাবার বেশি পরিমাণে খাবেন। পড়ে গেলেন তো চিন্তায়।

চিন্তার কিছুই নেই আপনি আমি সকলেই প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার হলো ভাত,রুটি।

এই দুটিই হলো কার্বোহাইড্রেট খাবারের মূল উৎস। তাই আপনারা আগে যে পরিমানে খাবার খেতেন তার থেকে কিছু পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে দিন।

প্রতিদিন ই কিছুটা পরিমান বেশি করে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে কয়েক মাসের মধ্যেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

সতর্কতাঃ বেশি পরিমাণে বলতে খুবই পরিমানে খাবেন না। এর ফলে এক সময় দেখবেন আপনার শরীর চর্বি জমে গেছে।

প্রটিন যুক্ত খাবার খাওয়া

মোটা হওয়ার জন্য প্রটিন যুক্ত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রটিন আপনার শরীরে চর্বি সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে। এর ফলে আপনি আস্তে আস্তে মোটা হওয়া শুরু করবেন।

আপনি যদি শুধু কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খান কিন্তু প্রটিন যুক্ত খাবার না খান এর ফলে আপনার শরীর সহজে মোটা হতে পারবে না। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় প্রটিন যুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে।

প্রটিন যুক্ত খাবার গুলো হলঃ ডিম,ডাল,দুদ,দই ইত্যাদি। খাবারের তালিকায় এগুলো অবশ্যই যুক্ত করবেন।

সুষম খাবার খাওয়া

মোটা হওয়ার জন্য অবশ্য আপনাকে একটি রুটিন মেনে চলতে হবে। আপনি যদি রুটিন মেনে চলতে না পারেন তাহলে সহজে কখনোই মোটা হতে পারবেন না।

তাই আপনাদের একটি সুষম খাদ্যর তালিকা তৈরি করতে হবে।যেখানে আপনি কি পরিমানে খাবার খাবেন। সেটির তালিকা তৈরি করে রাখবেন।

নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এর ফলে সহজেই আপনারা মোটা হতে পারবেন।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া

ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরের হাড় মোটাতাজা করতে ও লম্বা হতে সাহায্য করে।

মোটা হতে চাইলে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে হবে।তাহলে আপনি স্বায়ীভাবে মোটা হতে পারবেন।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার হলোঃ মাংস, দুদ, সামুদ্রিক মাছ ডিম ইত্যাদি।

ঘন ঘন খাবার খাওয়া

শরীর কে মোটাতাজা করে খাবার।আপনি দিনে হয়তো ৩ বেলা খাবার খেয়ে থাকেন। সকাল,দুপুর, বিকাল, এই তিন সময়ে।

এই খাবার হলো একটি মানুষের স্বাভাবিক খাওয়া। যা সকল মানুষ খেয়ে থাকে। আপনি যেহেতু মোটা হতে চান, সেই কারনেই আপনাদের ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

যেমন ধরুন সকাল বেলা নাস্তা খেলেন, এর ২ ঘন্টা পর আবার কিছু হালকা পরিমানে খাবার খেয়ে নিলেন। এভাবে যদি চলতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের খাদ্যর অভাব হবে না। শরীরে খাবারের ঘাটতি কখনো দেখা যাবে না। তাই মোটা হওয়ার জন্য আপনাদের ঘন ঘন খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

নিয়মিত পরিমাণ মত ঘুমাতে হবে

ঘুম মানুষের দৈহিক ঘাটতি পূরন করে। সারাদিনের যত ক্লান্তি ভাব রয়েছে। ঘুমানোর মাধ্যমে সেই ক্লান্তি ভাবকে দূর করা যায়।

শরীর মোটা হওয়ার জন্য একটি স্থির সময় প্রয়োজন। যেটা আমরা শরীরকে ঘুমের মাধ্যমে দিয়ে থাকি। তাই নিয়মিত একজন মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

অলস দেহে চর্বি জমে, তাই আপনি যদি অলস প্রকৃতির হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আপনাকে মোটা করতে সাহায্য করবে।

তাই আপনারা নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন।

চিন্তামুক্ত থাকা

যারা সব সময় চিন্তা করে তারা সহজে মোট হতে পারে না। চিন্তা করার ফলে মানুষের হরমোন গুলো বৃদ্ধি পেতে পারে না। যে কারনে শরীরের কোষ গুলোও বিকশিত হতে পারে না।

তাই আপনার যদি ইচ্ছা থাকে মোটা হবেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিজেকে ফ্রেশ রাখতে হবে। সব সময় চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

চিন্তা করার ফলে নানান ধরনের অসুখ এর তৈরি হয়। তাই নিজেকে এই সমস্যায় ফেলা যাবে না।

আপনি যদি চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন এবং নিয়মিত খাবার খেতে থাকেন,আশাকরা যায় আপনারা খুব সহজেই স্বায়ী মোটা হতে পারবেন।

তেল যুক্ত খাবার খাওয়া

তেল মানুষের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই খাবারে কিছুটা পরিমান তেল বাড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন। খেয়াল রাখবেন বেশি পরিমাণে তেল শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই আপনারা চাইলে তেল যুক্ত খাবার খাওয়া কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। এতে আপনার শরীরে চর্বি বেড়ে যাবে। সাথে আপনি মোটাও হবেন।

ড্রাইফুড জাতিয় খাবার খাওয়া

আমরা হাট বাজারে নানান ধরনের ড্রাই ফুড খাবার দেখতে পায়।এগুলো খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ড্রাইফুড জাতীয় খাবার হলো কাজু বাদাম,কিসমিস।। এগুলো আপনারা কিনে এসে প্রতিদিন সকাল বেলা ও রাতের বেলা খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারে রয়েছে অধিক পরিমানে ক্যালসিয়াম।

আমাদের শেষ কথা

একজন মানুষকে মোটা হওয়ার জন্য উপরের দেওয়া টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। আপনি যদি উপরের টিপস গুলো ফলে করে মোটা হতে চান, তাহলে আমি বলবো আপনি ৩/৪ মাসের মধ্যেই একজন স্বাস্থ্য হয়ে ওঠবেন।

আর আপনি যদি আরও বেশি জলদি মোটা হতে চান তাহলে মোটা হওয়ায় ঔষধ পাওয়া যায়। আপনারা সেগুলো খেয়েও মোটা হতে পারেন। কিন্তু ঔষধ খেতে মোটা হলে সমস্যা হলো আপনি কিছু দিন বা বছরের মধ্যে আবার চিকন হয়ে যাবেন।

তাই পরিশেষে বলতে চায় মোটা হওয়ার জন্য উপরের নিয়ম গুলো মেনে চলবেন। আর আমাদের এই আরটিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন।আজ এ পর্যন্তই। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।