হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। সকলকে জানায় Dailynews24media এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। প্রতিদিনের মতো আজ ও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি আরটিকেল নিয়ে। আজকের আরটিকেলের বিষয় হলো ইউটিউব একাউন্ট র্যাংক করবেন কিভাবে।
ইউটিউব হলো ভিডিও দেখার ও ভিডিও আপলোড দেওয়ার এক অন্যতম মাধ্যম। বিনোদনের জন্য আমরা ইউটিউব এ প্রবেশ করে যেটি দেখার ইচ্ছা হয়, সেই বিষয় এ সার্চ করি। সার্চ করার পর আমাদের সামনে যে সকল ভিডিও আসে সে গুলোই আগে দেখে থাকি। নিচের ভিডিও এর দিকে আস্তে আস্তে এগোই। এখানে আমরা উপরে যে ভিডিও গুলো দেখতে পাই, আসলে এগুলো আগে আসার কারন কী? এই প্রশ্ন কি কখনো এসেছে আপনার মনে। প্রথমেই যে ভিডিও গুলো দেখতে পায় এর কারন হলো এই ভিডিও গুলো ইউটিউব এর র্যাংকে রয়েছে। তাহলে এখন কথা হলো আপনারা কিভাবে আপনাদের ভিডিও গুলো র্যাংক করবেন।
আপনারা যারা নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন, কিন্তু ভিডিওতে কোনো ভিউ পাচ্ছেন না, আপনার চ্যানেল কেও খুঁজেই পাচ্ছে না। এমন হওয়ার পিছনে রয়েছে অনেক গুলো কারন।
শুধু একটি গুগল একাউন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুললেই কখনো চ্যানেলটি কে র্যাংক করানো যায় না। ইউটিউব চ্যানেল খোলার সময় সকল বিষয় এ সঠিকভাবে তথ্য পূরন করতে হবে। আপনারা কিভাবে এই সকল কাজ গুলো করবেন ও আপনার চ্যানেলটি কে কিভাবে র্যাংক করবেন এই সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাদের জানানো হবে।
ইউটিউব চ্যানেলকে অপটিমাইজেশন করা
ইউটিউবকে র্যাংক করাতে হলে আপনাকে অবশ্য আপনার চ্যানেলকে অপটিমাইজেশন করতে হবে৷ এখন অনেকেই জানেন না ইউটিউব অপটিমাইজেশন আবার কি?
ইউটিউব আপটিমাজেশন বলতে সহজ ভাষায় আমরা বুঝি ইউটিউব মার্কেটিং করা ও ইউটিউব রিলেটেড সকল বিষয় গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা।
আপনারা যে বিষয় এ কন্টেন্ট তৈরি করেন, ঠিক সেই রিলেটেড ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা। যেমন আপনারা যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন ঠিক তখন আপনাদের মাঝে অনেক অপশন আসে, সেখানে আপনাদের ক্যাটাগরি সঠিক ভাবে দিতে হবে। যেমন আপনি যদি শিক্ষণীয় বিষয় এ কন্টেন্ট তৈরি করেন, তাহলে ক্যাটাগরি Education দেওয়া লাগবে।
ঠিক একই ভাবে আপনার একাউন্ট টি যে বিষয় রিলেটেড সেই ক্যাটাগরি দিয়ে দেবেন।
তারপর আপনাদের Description এই সেই বিষয় এ লিখে দেবেন, এর ফলে গুগল বুঝতে পারবে আপনি কেমন কন্টেন্ট দেন।এর ফলে মানুষ যখন আপনার ক্যাটাগরি রিলেটেড কোনো কিছু সার্চ করবে আপনার সাইটিও গুগল প্রদর্শন করবে। এভাবেই অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেলকে র্যাংক করানো হয়।
SEO রিলেটেড টাইটেল
ইউটিউব হলো বিশ্বের দ্বিতীয় তম সার্চ ইঞ্জিন। মানুষ যেকোনো কিছু খোঁজার জন্য ইউটিউবে আসে। ইউটিউব চ্যানেলকে র্যাংক করার জন্য তাই প্রয়োজন হয় SEO রিলেটেড টাইটেল দেওয়া।
SEO সম্পর্কে আনেকেরই ধারনা নাও থাকতে পারে। SEO হলো Search Engine Optimization। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে SEO হলো তথ্য খোঁজর জন্য বিশেষ কি-ওয়ার্ড। আরো খোলাসা করে বলতে গেলে আমরা গুগল এ অথবা ইউটিউব এ যখন কোনো কিছু সার্চ করার জন্য লিখি, তখন অটোমেটিক কিছু সাজেশন দেখতে পায়, যেটা আমাদের প্রয়োজন হয় সেটাই ক্লিক করে ব্রাউজ করে থাকি।এটাই হলো Search Engine Optimization বা SEO. আপনি SEO তে যত বেশি দক্ষ হতে পারবেন ঠিক তত বেশি চ্যানেল কে উন্নত করতে পারবেন।
Hash ট্যাগ(#) ব্যবহার করা
ইউটিউব চ্যানেল মার্কেটিং এর জন্য হ্যাশট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি তথ্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু হ্যাশট্যাগ কিভাবে কাজ করে এটা অনেকেই জানেন না। আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে হ্যাশট্যাগ তাহলে কি?
হ্যাশট্যাগ হলো কোনো কন্টেন্ট বা নামের আগে # এই চিহ্নটি ব্যবহার করা। আমরা সোশিয়্যাল সাইট গুলোতে যে লিংক দেখতে পাই, ঠিক তেমনি ভবে হ্যাশট্যাগ ও কাজ করে। যখনি কোনো নামের আগে # ব্যবহার করা হয়, তখন সেটাকে হ্যাশট্যাগ বলে। যেমন #
হ্যাশট্যাগ ব্যবহারে সুবিধা কিঃ- হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার ফলে কেও যদি আপনার হ্যাশট্যাগ অনুযায়ী কোনো কিছু সার্চ করে তাহলে হ্যাশট্যাগের সবকিছুই গুগল আগে সামনে নিয়ে আসবে।তাহলে নিশ্চয় বুঝতেই পেরেছেন হ্যাশট্যাগ এর কাজ কি। তাই একটি চ্যানালকে র্যাংক করাতে হলে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
সঠিক keyword সিলেক্ট করা
সঠিক keyword বলতে গুগল এ যে বিষয় নিয়ে সবথেকে বেশি মানুষ সার্চ করে, সেটি অনুসরণ করে পোস্ট গুলো তৈরি করা।
গুগল র্যাংক করার পিছনে সঠিক Keyword ভূমিকা রাখে ৮০/৯০ শতাংশ। আপনার keyword যত ভালো হবে ইউজার তত বেশি হবে।
যেকারণে আপনারা যখন কোনো কন্টেন্ট আপলোড করবেন, ঠিক তার আগে গুগল, ইউটিউব ও বিভিন্ন সফটওয়্যার এ খুঁজে নিবেন। যে আপনার তৈরি করা কন্টেন্টটি মানুষ কি লিখে সার্চ করে থাকে।
ইউটিউব এ একটি বিষয় এর উপরেই হাজার হাজার ভিডিও তৈরি হয়। তাই নতুন চ্যানেল র্যাংক করার জন্য যে গুলো বিষয় এ মানুষ কম ভিডিও তৈরি করেছে, সেগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করা। এর মাধ্যমে নতুন চ্যানেল সহজে র্যাংক করা যায়।
thumbnail / tag / description ব্যবহার করা
যখন কোনো কন্টেন্ট আপলোড করা হবে, সেটিকে সকলের কাছে পৌছানোর জন্য thumbnail, tag, description এগুলো ব্যবহার করা অবশ্যই প্রয়োজন। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ভিডিও গুলো সকলের কাছে পৌঁছাতেও সহজ হয়।
আপনারা যখন ভিডিও আপলোড করবেন তখন অবশ্যই অনেক গুলো Tag ব্যবহার কররেন, thumbnail হলো ভিডিও এর প্রাণ, মানুষ thumbnail দেখেই আপনার ভিডিও তে ক্লিক করবে। তাই যত বেশি সম্ভব thumbnail এ সময় দিয়ে তৈরি করা।
আপনি যেই বিষয় এ ভিডিওটি আপলোড করবেন, ঠিক সেই রিলেটেড কথা description এ লিখে দিবেন। তাহলে গুগল আপনার ভিডিও এর দিকে নজর দেবে।
নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা
ইউটিউব চ্যানাল র্যাংক করার অন্যতম উপায় হলো, নিয়মিত ভিডিও দেওয়া৷ নিয়মিত ভিডিও দিলে ইউজারা আপনার ভিডিও গুলো প্রতিদিন ই দেখতে পারবে। ফলে আপনার চ্যানেল এ ওয়াচ টাইম ও অনেক বেড়ে যাবে, যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে র্যাংক করাতে সাহায্য করবে।
তাই যতদিন না পর্যন্ত আপনার চ্যানাল একটি ভালো পর্যায়ে যাচ্ছে তত দিন পর্যন্ত নিয়মিত ভিডিও দিতে হবে। আপনার একাউন্ট এ যত বেশি ভিডিও রাখতে পারবেন, ঠিক তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাই চ্যানালকে র্যাংক করাতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা চাই ই চাই।
মানুষ তার অবসর সময় কাটাতে কোনো নতুন কিছু জানতে ইউটিউবেই সার্চ করে। তাই অন্যার কোনো ভিডিও কপি না করে, নিজের মেধায় কন্টেন্ট তৈরি করা। ভিডিও কপি করলে YouTube এ Copy Right Strike আসে। একটি ইউটিউব চ্যানেলে যদি কখনো এমন Strick ৩ বার আসে তাহলে, তার একাউন্টটি অটোমেটিক ব্যান হয়ে যাবে বা নষ্ট হয়ে যাবে।
আমাদের শেষ কথা
আশাকরি আপনি যদি সম্পুর্ন আরটিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় ইউটিউবে র্যাংক কিভাবে করে এই বিষয় এ জানতে পেরেছেন। আপনার যদি ইউটিউব একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে উপরের এই সকল নিয়ম মেনে কাজ করলে আপনার একাউন্ট র্যাংক এ খুব সহজেই চলে আসবে। আজ এ পর্যন্তই।
আশাকরি আপনাদের এই আরটিকেলটি ভালো লেগেছে। আপনারা আরো এমন নতুন নতুন আরটিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।
- Dailynews24media Reporter