হ্যালো বন্ধুরা, আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। আজ আমরা জানবো অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়। কয়েক বছর ধরেই সরকার সারা দেশে যত সকল আনঅফিসিয়াল ফোন রয়েছে সেগুলো বন্ধ করার কার্যক্রম চালু করেছে। যে সকল ফোন তাদের নিয়ন্ত্রণ এ আসছে সব গুলোই বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই যারা ফোন কিনবেন অবশ্যই অফিসিয়াল ফোন কিনবেন। তাই আমদের ফোন কেনার আগে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজন। তাই অফিশিয়াল ও আন অফিশিয়াল ফোন সম্পর্কে সকল কিছু জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তেই থাকুন।

আমরা তো মাঝে মধ্যেই শুনে থাকি এটি হলো অফিসিয়াল ফোন অথবা এটি আনঅফিসিয়াল ফোন। সরকার মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন নোটিশ জারি করছে, আনঅফিসিয়াল ফোনকে অফিসিয়াল ফোন করার জন্য। তাছাড়াও যে সকল ফোন আনঅফিশিয়াল পাচ্ছে সব গুলোই বন্দ করে দিচ্ছে। তাই আমাদের ফোন কেনার আগে, অফিসিয়াল ফোন কি ও আনঅফিশিয়াল ফোন কি তা জেনে রাখা জানা খুবই প্রয়োজন।

অফিসিয়াল ফোন কি

 

অফিসিয়াল ফোন বলতে বোঝায় সরকারি মাধ্যমে সকল ধরনের ট্যাক্স প্রদান করে সকল দেশে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা এবং কাস্টমারদের নিদ্রিষ্ট সময় পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সুবিধা প্রদান করায় হলো অফিসিয়াল ফোন। অথবা বলা যেতে পারে অফিসিয়াল ফোন হলো বৈধ ফোন।

আন অফিশিয়াল ফোন কি

 

আন অফিশিয়াল ফোন হলো সরকারকে কোনো ধরনের ট্যাক্স প্রদান না করে চোরায় মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ফোন পাচার করে ব্যবহার করায় হলো আন অফিশিয়াল ফোন। এই সম্পূর্ণ একটি অবৈধ উপায়।

অফিসিয়াল ফোনের সুবিধা

 

অফিসিয়াল ফোনে রয়েছে অনেক ধরনের সুবিধা যেমনঃ আপনার ফোনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে ওয়ারেন্টির মেয়াদ পর্যন্ত মোবাইল কোম্পানি ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকে। এই ফোনটি আপনারা বৈধ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনার ফোন যদি কোনো কারণ বশত হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে আপনারা ট্রাকিং করার মাধ্যমে সহজেই ফোনটিকে খুঁজে আনতে পারবেন। আপনার ফোনটি যদি কেও দাবি করে যে এই ফোনটি আপনার নয়, অন্য জনের তাহলে আপনারা সহজেই IMEI এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে পারবেন, যে এটি আপনার ফোন।

আন অফিশিয়াল ফোনের অসুবিধা

 

আন অফিশিয়াল বলতে আমরা বুঝি অবৈধ ফোন। আন অফিশিয়াল ফোনে রয়েছে অনেক অসুবিধা যেমনঃ এই ফোনোর কোনো ওয়ারেন্টি সুবিধা নেয়। হারিয়ে গেলে কখনো ট্রাকিং করার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সুবিধা নেয়। যেকোনো সময় বন্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আনঅফিশিয়াল ফোন বেশির ভাগ সময় ক্লোন করে তৈরি করা হয়। যে কারনে এই ফোন গুলো বেশি সময় ভালো থাকে না, নানান ধরনের সমস্যা দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ জেনে নিন!

এখন আমরা যেহেতু জেনে গেলাম আফিশিয়াল ও আনঅফিশিয়াল ফোন কি । তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেয় অফিসিয়াল ও আন অফিশিয়াল ফোন কিভাবে চিনবো।

আন অফিশিয়াল ফোন চেনার উপায়

 

আন অফিশিয়াল ফোন চেনা খুবই সহজ। নিজের ফোনের মধ্যে অল্প কিছু স্টেপ ফলো করলেই সহজেই জানতে পারা যায়।তাই আমাদের আন অফিশিয়াল ফোন চেনার জন্য প্রথমেই কল বাটনে যেতে হবে। কল বাটনে যাওয়ার পর আপনাদের *# 06# এই ডায়াল কোডটি আপনাদেরকে ডায়াল করতে হবে। এই কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই আপনারা দেখতে পারবেন মোবাইল কোম্পানি আপনাদের দুইটি IMEI কোড দিয়ে দিয়েছে। (IMEI কোডটি ১৫ টি সংখ্যার থাকবে)

IMEI কোডটি পাওয়ার পর আপনাদের আর কিছু অল্প কাজ করতে হবে, কাজটি হলো আপনারা যে IMEI কোডটি পেয়েছেন সেটি পাঠিয়ে একটি মেসেজ করতে হবে।

তাই আপনারা মেসেজ অপশন এ চলে যাবেন এবং সেখানে আপনাদের লিখতে হবে kyd। kyd লিখার পর একটি স্পেস দিয়ে আপনার ফোনের IMEI কোডটি লিখতে হবে। লেখা শেষ হলে 16002 এই নম্বরে মেসেজটিকে পাঠিয়ে দিতে হবে। মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়ার পর কিছুক্ষন পর আপনারা একটি রিপ্লেই পাবেন। এই রিপ্লেই থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার এই ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আন অফিশিয়াল ফোন।

সর্বশেষ কথা

 

আশাকরি আপনারা এই আরটিকেল থেকে সহজেই অফিসিয়াল ফোন চিনতে পারবেন। আন অফিশিয়াল ফোন যেহেতু অবৈধ একটি ফোন, তাই আমাদের ফোন কেনার সময় অবশ্যই যাচাই করে ফোন কিনে নিতে হবে।আজ এ পর্যন্তই। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত আসার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো এমন নতুন নতুন আরটিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।

Writter: Jinnur
Dailynews24media
Photo Collected