প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,আশাকরি আপনারা সকলেই ভালোই আছেন। আপনাদের সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। আপনারা যদি বিসিএস নিয়ে ভাবছেন, কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন,কত সময় পড়তে বসবেন,আরো নানান ধরনের প্রশ্ন যেগুলো আপনাদের মনে আসতে পারে, এই সকল খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। তাই আশাকরি আপনাদের এই আরটিকেলটি নিজেকে পরিবর্তন করতে ও পরবর্তী ধাপ এ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তাই আরটিকেলটি স্কিপ না করে শেষ পর্যন্ত পড়তেই থাকুন।

আমরা সকলেই জানি বিসিএস হলো একটি সর্বোচ্চ মর্যাদার স্থান ও অন্যতম একটি পদ। আমরা যারা পড়াশোনা করে থাকি, সকলেরই ইচ্ছা থাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। আমি আপনি বা যে কেও চাইলেই বিসিএস ক্যাডার হতে পারবে, কিন্তু যে কারনে প্রথমেই প্রয়োজন আমাদের ইচ্ছা শক্তি, কষ্ট করার প্রবনতা, সকল বিষয় এ সিরিয়াস হওয়া, এবং প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করা। আমরা যদি এই সকল বিষয় মাথায় রেখে কাজ কর‍তে পারি, তাহলে আমাদের সকালের দ্বারাই কিছু না কিছু করা সম্ভব। তাহলে চলুন শিক্ষার্থী বন্ধুরা, এখন জেনে নেয় কিভাবে আমরা বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিব শুরু থেকে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা

কোন কিছু অর্জন করতে গেলে, লক্ষ্য নির্ধারণ করা আবশ্যিক হয়ে পড়ে। কেননা লক্ষ্য ছাড়া মানুষ সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। লক্ষ্য ছাড়া মানুষ মরুভূমিতে সমূদ্র খোজার মতই বিরল।তাই প্রথমেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যে তুমি যেভাবেই হোক বিসিএস ক্যাডার হবাই। আর এই কথাটি মনে রেখেই পরিশ্রম করে যেতে হবে । লক্ষ্য অটুট থাকলে নিজের পড়ালেখার প্রতি অটোমেটিক আগ্রহ চলে আসবে, এবং সব কিছু পড়ার এনার্জি পাবে। বিসিএস এ অনেক পড়া রয়েছে তাই পড়তে হবে ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বিসিএস/প্রাইমারী /অন্যান্য সরকারি চাকুরির অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে!

বিসিএস পরিক্ষা জীবনের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একবার কেউ বিসিএস ক্যাডার হতে পারলে ক্যারিয়ার গঠন হয়ে যায়।

পড়াশোনার প্রতি সিরিয়াস হওয়া

সকলের ই জানা আছে যে সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি হলো চেষ্টা করা ও পরিশ্রম করা। বিসিএস ক্যাডার হতে হলে পড়াশোনার প্রতি মনযোগী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেয়। বিসিএস এর জন্য সকল বিষয়কে সিরিয়াসলি নিতে হবে। ডেইলি সময় করে পড়তে হবে। সকল বিষয় এর উপর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যে সকল বিষয় এ দূর্বলতা রয়েছে সেই সকল বিষয় এ অধিক সময় দেওয়া। এক কথায় পুরো ফোকাস টাই পড়াশোনার উপর রাখতে হবে। তাই অনার্স প্রথম বর্ষ থেকেই জব সোলুউশন বই পড়তে হবে, বিগত বছর গুলোর বিসিএস প্রশ্ন গুলো সমাধান করতে হবে।

দিনে মোট কত সময় পড়াতে হবে

বিসিএস একটি বিশাল সিলেবাস এর সমন্বয় এ তৈরি। যে কারনে কত সময় পড়তে হবে এটা নির্ভর করে নিজের উপর। প্রথমত আমাদের সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। সিলেবাস এর মধ্যে যে সকল বিষয় এ কঠিন ও অভিজ্ঞতা কম রয়েছে, সেগুলোতে বেশি সময় ব্যয় করা। ব্রেক দিয়ে দিয়ে পড়াশোনা না করা, প্রতিদিন ই ১০/১২ ঘন্টা সময় নিয়ে বুঝে বুঝে পড়াশোনা করা। আমরা যত বেশি সময় নিয়ে পড়বো তত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবো। তাই প্রতিদিন ই সিলেবাস অনুযায়ী পড়তে হবে।

শুরু থেকে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য যে বই গুলো পড়বেন

আপনারা অনেকেই আছেন, টিউশনি করেন, বা অনেকেই টিউশনি করেন না। কিন্তু আপনারা যদি চান একদম শুরু থেকে বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করতে, তাহলে আপনাদের প্রথমেই বোর্ড বই গুলো পড়তে হবে। এখন আপনারা ভাবছেন কোন বোর্ড বই পড়বেন? এজন্য আপনাদের প্রয়োজন হবে প্রথমত ক্লাস সিক্স থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বোর্ড বই এর প্রিপারেশন শেষ করা। এই গুলো থেকে আপনাদের প্রিলি ও রিটেন পরিক্ষার প্রিপারেশন অনেকটা হয়ে যাবে। তাই আগে বোর্ড বই কম্পিলিট করবেন।

এরপর আপনাদের ইন্টাররের বোর্ড বই গুলো ভালোভাবে সকল বিষয় রপ্ত করে নিতে হবে তাহলেই প্রিপারেন উন্নতি হবে। তাই স্কুলের এবং কলেজের বোর্ড বই গুলা শেষ করা খুবই প্রয়োজন।

এই সকল বিষয় চর্চা করার পাশাপাশি লাইব্রেরি থেকে প্রিলি ও রিটেন ও জব সলুউশন বই গুলো পড়া শুরু করে দেবেন। বিসিএস এর পড়া অনেক, তাই আপনি যদি অনার্স লেবেল এ পড়ালেখা শুরু করেন, তাহলে প্রথম বর্ষ থেকেই বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে থকুন। তা না হলে অনার্স পাশ করার পর আপনি কি করবেন সেটাই ভেবে উঠতে পারবেন না। তাই আগে থেকেই পড়াশোনা করতে হবে। নিজের লক্ষ্যে সেই ভাবে নিজেকে তৈরি করতে হবে।

প্রতি মাসের কারেন্ট নিউজ গুলো পড়া

প্রতি মাসেই বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে নিউজ বই বের করে। এখানে গোটা একটি মাসে সারা পৃথিবীতে কি কি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটছে এবং সাধারণ জ্ঞান সহ সকল বিষয় এ জানানো হয়। বিসিএস প্রস্তুতির জন্য প্রতি মাসে লাইব্রেরি থেকে একটি করে বই কিনে পড়তে হবে। এই নিউজ বই গুলোর দাম ২০টাকার মত হয়ে থাকে। তাই এই বই গুলা পড়া ও সাধারণ জ্ঞান কে উন্নত করা।

একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি নেওয়া

আপনারা বিসিএস এর জন্য প্রচুর ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে, একাডেমিক পড়াকে কম গুরুত্ব না দেওয়া। আপনারা নিজের ক্যারিয়ার কে উন্নত করতে চাইলে এই সময়ে পড়াশোনার প্রতি গভীর মনোযোগ দেওয়া। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি গ্রহণ করা। একাডেমিক এ পড়াশোনার জন্য ৪ বছর সময় পার করতে হয়। যে কারনে এই সময়ে বিসিএস প্রস্তুতি অল্প অল্প করে নেওয়া। তাহলেই আপনাদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করবে।

আমাদের শেষ কথা

বিসিএস একটি কঠিন পরিক্ষা, কিন্তু আপনারা যদি সঠিকভাবে প্রিপারেশন গ্রহণ করতে পারেন তাহলে এই পরিক্ষা আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না। এই পরিক্ষা কঠিন হলে ও কিন্তু অসম্ভব না। তাই সকলের উচিত মনযোগ সহকারে পড়া। আশাকরি আপনাদের এই আরটিকেল ভালো লেগেছে। শেষ পর্যন্ত আসার জন্য ধন্যবাদ।

লেখকঃ ডেইলি নিউজ টুয়েন্টি ফোর মিডিয়া রিপোর্টার
ছবিঃ সংগৃহীত