আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনাদের সকলকে জানায় dailynews24media এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি নতুন একটি বিষয়। আজকের বিষয়টি হলো কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে।
বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর যুগ। এ যুগে যার কাছে যত বেশি তথ্য রয়েছে সেই এগিয়ে আছে। কন্টেন্ট রাইটিং এটি একটি খুব কঠিন ব্যাপার নয়। আপনারা যদি অনলাইলে আয় করার কথা ভাবছেন, তাহলে তো কন্টেন্ট রাইটিং করা আপনার জন্য খুবই সহজ একটি উপায়।
আপনি যদি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হতে পারেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ার ও গঠন করতে পারবেন। আপনারা কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন সেই বিষয়গুলোও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।
- প্রথমেই যে প্রশ্নটি আসে, সেটি হলো কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে লিখবো । কিভাবে লিখলে আপনার কন্টেন্ট এ ভিউ পাওয়া যাবে।অথবা আপনি অনেক দিন থেকেই অনেক কন্টেন্ট লিখছেন কিন্তু কোনো কাংখিত ফলাফল পাচ্ছেন না। আপনার যদি এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রথমেই যে বিষয়টি সম্পর্কে লিখছেন সেই বিষয় এ পূর্নাঙ্গ ধারনা অর্জন করা। তারপর এই লিখা শুরু করা। এতে করে আপনার লিখা গুলো ভালো হবে।কন্টেন্ট মজবুত হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয় কন্টেন্ট রাইটিং করার সঠিক উপায় গুলো।
কন্টেন্ট কি
কন্টেন্ট হলো লেখা। আমরা যারা ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ব্যবহার করি, তারা প্রতিনিয়তই কিছুনা কিছু লিখে থাকি। ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করি, আমাদের মনে যে সকল বিষয় ঘোরাফেরা করে সেগুলোও আমরা ফেসবুক এ পোস্ট করার মাধ্যমে লিখে থাকি।
আমরা এই সোসিয়াল মিডিয়া গুলোতে যে লেখাগুলা লেখে থাকি এটাকে আসলে কন্টেন্ট বলে থাকে।
কন্টেট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, এটা নির্ভর করে আপনার লিখার উপর। অনেকেই আছেন যারা লিখা লিখি করতে ভালোবাসেন তারা ব্লগার সাইট খুলে সেখানে নিজের মত করে কন্টেন্ট লিখেন। যারা বাংলা ভালো জানেন তারা বাংলায় লিখেন, আর যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা ইংরেজি তে কন্টেন্ট লিখে থাকেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন কোনো কিছু লিখাই হলো কন্টেন্ট।
কন্টেন্ট রাইটিং কি
নতুন যারা অনলাইন জগতে কাজের জন্য প্রবেশ করেছেন, অনেকেই হয়তো জানেন না, কন্টেন্ট রাইটিং আসলে কি। কন্টেন্ট রাইটিং করে কি হয়। তাই প্রথমেই কন্টেন্ট লিখার আগে জেনে রাখা উচিত কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে।
কন্টেন্ট হলো আমরা যেকোনো কিছু জানার জন্য যখন গুগল এ সার্চ করি, এরপরে যে লেখাগুলো আমরা দেখতে পাই এগুলোই হলো কন্টেন্ট। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় আপনারা এখন আমার যে লেখাটি পড়তেছেন এটাকেই মূলত কন্টেন্ট বলে। আমি আপনাদের জানার সুবিধার্থে যে লেখা গুলা লিখবো এগুলোই হলো কন্টেন্ট আর আমি যে লিখছি এটাই হলো রাইটিং। এককথায় কন্টেন্ট রাইটিং।
কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করবেন
প্রথমেই ভাবুনতো আপনি কন্টেন্ট লিখবেন কেন? এর উত্তর হলো ভিজিটরদের সুবির্ধাথে। যখন কেও আপনার কন্টেন্ট টি পড়তে আসবে, তখন সে যেটি জানার জন্য এসেছে সেই বিষয়টি খুজবে। যদি সে না পায় তাহলে সে পর্বতীতে আর আপনার কন্টেন্ট পড়তে আর নাও আসতে পারে। যে কারনে কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য প্রথমে নিকে দক্ষ বা অভিজ্ঞ হতে হবে
যে বিষয় এর উপর কন্টেন্ট লিখছেন সেই বিষয় এর রিসার্চ করুন। এজন্য আপনাকে সাহায্য করবে গুগল ও ইউটিউব। আপনারা যে বিষয় এই খোঁজ করুন না কেন সব কিছুই পেয়ে যাবেন। এখান থেকে আপনারা কি কি বিষয় জানেন না সেই সকল বিষয় গুলো নোট করুন, দরকার হলে ডাইরিতে লিখে রাখুন।
কন্টেন্ট লিখার আগে নিজেকে অভিজ্ঞ করুন। আপনি যত বেশি বেশি রিসার্চ করবেন তত বেশি ইউনিক তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। একজন ইউজার আসবে আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু শিক্ষতে, তাই সেভাবেই আপনার কন্টেন্টকে প্রস্তুত করুন। তাহলে বুঝতেই পারছেন কন্টেন্ট রাইটিং আপনারা কিভাবে করবেন।
প্রঁচুর পরিমাণে রিসার্চ করা
একটি প্রবাদ আছে Knowledge Is Power এর মানে হলো জ্ঞানেই শক্তি। আপনি যখন কোনো আরটিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আপনার আরটিকেল এ সকল তথ্য রয়েছে কিনা। একটি আরটিকেলকে সকল তথ্য উপস্থাপন করতে হলে, প্রথমে যে লিখছে তার সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। আপনারা কখনোই রিসার্চ ছাড়া একটি মানের পোস্ট তৈরি করতে পারবেন না।
কন্টেন্ট লিখা খুবই সহজ কিন্তু একটি উন্নত মানের আরটিকেল লেখা একটি আর্ট বিশেষ। যেটি সকলেই পারে না। সবাই চাইলেই যেকোনো কিছু লিখে একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু সেটা যদি উন্নতমানের কন্টেন্ট না হয়, সেই কন্টেন্ট এ ভিউ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই আরটিকেল লিখলে প্রঁচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে। রিসার্চ করলে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। আপনিও সকলের মত উন্নত কন্টেন্ট লিখতে পারবেন।
SEO/ উন্নত মানের Keyword ব্যবহার করা
কন্টেন্ট রাইটিং এ আপনাকে অবশ্যই SEO সম্পর্কে জানতে হবে। SEO কিভাবে কাজ করে, SEO দিয়ে কিভাবে আপনার কন্টেন্টকে আকর্ষণীয় করে তুলবেন।এই সকল বিষয় এ আপনাদের জানতে হবে। আপনি SEO যত বেশি জানতে পারবেন কন্টেন্ট এর মান ও তত বৃদ্ধি করতে পারবেন।
Keyword হলো আপনার কন্টেন্ট লিখার টাইটেল। তাই আপনাদের Keyword সম্পর্কে জানতে হবে। ইউজারা কি বিষয় এ তথ্য সার্চ করে সেই রিলেটেড Keyword আপনার কন্টেন্ট এ ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই আপনি একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন।
কত ওয়ার্ডের কন্টেন্ট লিখবেন
অনেকেই জানে না একটি ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে হলে, কত ওয়ার্ড হলে ভালো হয়৷ একটি ভালো মানের কিন্টেন্ট এ ওয়ার্ড সংখ্যা ১০০০/১৫০০ হলে ভালো হয়। আপনি যত বড় করে কন্টেন্ট লিখতে পারবেন ততই ভালো হয়। বড় আরটিকেল হলে গুগল ও বুঝতে পারে এটি একটি সঠিক ও সম্পূন্ন তথ্য নির্ভর একটি পোস্ট। তখন সেই পোস্টটিকেই গুগল বেশি গুরুত্ব দেয় এবং একটি র্যাংক এ পৌছায় দেয়।আশাকরি এখন বুঝতে পেরেছেন আপনার কন্টেন্টটি কত ওয়ার্ড এর লিখবেন।
সহজ ভাষায় লিখার চেষ্টা করা
আপনার কন্টেন্ট কেমন হবে সেটার উপর নির্ভর করে আপনার ভিজিটর সংখ্যা। আপনি যদি শক্ত ভাষায় কন্টেন্ট লিখা শুরু করেন তাহলে ইউজারদের পড়তে অনেক অসুবিধা হবে। যে কারণে তারা আপনার পোস্ট কিছুই বুঝবে না এবং আপনার পোস্ট এর কোনো মূল্যই থাকবে না। আপনার এত কষ্ট করে লিখেও কোনো লাভ হবে না। শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে ও আংগুল ব্যাথা করবেন। যে কারনেই সব সময় মানুষ বুঝতে সহজ হয় এই রকম আরটিকেল লিখার চেষ্টা করবেন। তাহলে নিশ্চয় একদিন সফল হবেন।
আমাদের শেষ কথা
কন্টেন্ট লিখতে হলে আপনারা উপরের এই সকল বিষয় এর উপর নজর দেবেন। তাহলে নিশ্চয় আপনারা ভালো কিছু করতে পারবেন। অনলাইন জগতে খুব অল্পতেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলিবেন না। আপনি যদি এখানে ধৈর্য, সময়, মেধা, পরিশ্রম দিয়ে থাকেন তাহলে একদিন সফল হবেন অবশ্যই।
আশাকরি আজকের এই আরটিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আরো এমন নতুন নতুন আরটিকেল পড়তে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই।
- Writer: daily News 24media