আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। সকলকে জানায় ডেইলি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর পক্ষ থেকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে এই আরটিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্যই। আজকে আপনাদের বেশ কয়েকটি টিপস দেব, যেগুলো অনুসরন করলে পরিক্ষায় খুব সহজেই ভাল রেজাল্ট করতে পারবেন। যদি আপনি এই টিপস গুলো জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
একজন ছাত্র-ছাত্রীর মূল লক্ষ্য থাকে ভালোভাবে পড়ালেখা করে একটি ভালো রেজাল্ট অর্জন করা। ভালো রেজাল্ট করার জন্য তাই সকলেই খুবই চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায় পরীক্ষায় তার রেজাল্ট ভালো না। অনেক চেষ্টা করেও ভালো রেজাল্ট অর্জন করতে সক্ষম হয় না। আবার অনেকে আছে যারা খুব বেশি সময় না পড়াশোনা করেও ভালো রেজাল্ট করে।
আপনাদের যদি এই বিষয় এ প্রশ্ন করা হয় রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না কেন। তাহলে উত্তরে আপনি বলবেন, ভালো করে প্রিপারেশন নিতে পারিনি তাই রেজাল্ট ও ভালো হয়নি। এই যুক্তিটি আপনার সম্পুর্ন সত্য। কিন্তু বন্ধুরা আপনারা চাইলে অল্প সময়ের মধ্যে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। এজন্য আপনাদের কিছু টিপস অনুসরন করে পড়তে হবে।
যারা বরাবর ই ভালো রেজাল্ট করে, তারাও বেশ কিছু টিপস অনুসরণ করে চলে। যেগুলো আপনাদের মাঝে কখনো শেয়ার করতে চায় না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ আরটিকেলটি।
পরিকল্পনা করতে হবে
আপনি যে ক্লাসেই পড়ুন না কেন, স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে আপনাদের পরিকল্পনা গঠন করতে হবে।
প্রশ্ন হলো কি পরিকল্পনা গঠন করবেন? আমরা সকলেই জানি পরিকল্পনা বিহীন কোন কাজে সফল হওয়া খুবই কষ্টকর।
যে কারনে পরীক্ষার কতদিন সময় আছে, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পরিক্ষার সময় যদি বেশি না থাকে। তাহলে প্রথমেই আপনাকে সিলেবাস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কারন পরিক্ষায় যা আসবে তা তো সবকিছু সিলেবাস থেকেই।
সিলেবাস অনুযায়ী যে বিদায় গুলো তোমার কাছে সহজ মনে হয়, সেই বিষয় গুলো আগে ভালোভাবে শেষ করে দিতে হবে।
ক্লাস নোট ভালো ভাবে পড়ে শেষ করে দিতে হবে।
সময় যেহেতু অল্প , তাই সহজ বিষয় গুলো আগে শেষ করতে হবে। এতে করে পড়াশোনা করার প্রতি মনোযোগ ও তৈরি হবে৷ আর খেয়াল রাখতে হবে। পড়ার সময় যেন কেও বিরক্ত না করে।
বিগত সালের প্রশ্ন গুলো থেকে আইডিয়া নেওয়া
অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা কখনোই বিগত সালের প্রশ্ন নিয়ে চর্চা করে না। তাই তাদের পক্ষে পরিক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করা একটু জটিল হয়ে পড়ে, সাথে পরিক্ষা সময় মত শেষ করতে পারে না।
রেজাল্ট ভালো করার অন্যতম একটি উপায় হলো নিজেকে যাচাই করা। তাই পরিক্ষা দেওয়ার আগে নিজেই নিজের শিক্ষক হওয়া। অর্থাৎ পরিক্ষা কেমন হবে, সে বিষয় এ অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য মডেল টেস্ট বই গুলো থেকে বিগত সালের প্রশ্ন গুলো নিজে নিজেই সমাধান করা।
যে বিষয় এ নিজেকে দূর্বল মনে হবে, সেই বিষয় এ বেশি সময় দেওয়া। নিজে নিজে পরিক্ষা দেওয়ার ফলে এতে আপনার আইডিয়া বেড়ে যাবে, সাথে নিজের প্রতি নিজের কনফিডেন্স বেড়ে যাবে। এর ফলে পরিক্ষার সময় ভয় ও চিন্তা বিষয়টা অনেক কমে যাবে। এতে আপনি সহজেই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন ।
রুটিন তৈরি করে পড়া
সব বিষয় এ ভালো করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে রুটিন অনুযায়ী পড়তে হবে। আপনারা এমন ভাবে রুটিন তৈরি করবেন, যেখানে সব সাব্জেট থাকবে। সব গুলো বিষয় এর প্রতি নজর রাখবেন যেন কোন বিষয় এ অল্প সময় না পড়ে।
রুটিন অনুযায়ী পড়লে সকল বিষয় এ পড়ার সময় পাবেন। যে কারনে সকল বিষয়েই আপনারা ভালোভাবে প্রিপারেশন নিয়ে নিতে পারবেন।
সব সময় রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করবেন।এতে আপনারা রেজাল্ট খুব সহজেই ভালো করতে পারবেন।
মূল বই ভালোভাবে পড়তে হবে।
পরিক্ষায় ভালো করার অন্যতম উপায় হলো মূল বই পড়া। অনেকেই ছাত্র-ছাত্রীই মূল বই পরার বিপরীতে গাইড বই সাজেশন বই পড়েন। এই ধরনের বই গুলো থেকে আইডিয়া নিয়েই পরীক্ষা দেয়।
আপনার পড়ার সময় যদি খুব কম থাকে, তাহলেই সাজেশন ও গাইড বই পড়ে পরিক্ষা দিবেন।
আপনারা যদি সহজেই ভালো রেজাল্ট করতে চান, তাহলে বলবো আগে মূল বই পড়ে শেষ করুন। মূল বই এ সকল বিষয় বিস্তারিত দেওয়া থাকে। মূল বই ভালোভাবে পড়তে পড়লে, আপনার জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পাবে, ঠিক তেমনি পরিক্ষার প্রিপারেশন ও অনেক ভালো হবে।
তাই অল্প সময়ে ভালো রেজাল্ট করার জন্য আগে মূল বই এর উপর বেশি করে জোর দিন।
শিক্ষকের কাছে উপদেশ নিন
একজন শিক্ষক আপনাকে অনেক ভাবে সহায়তা করতে পারে। যে সকল বিষয় এ সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে নিবেন। সাথে শিক্ষকরা যে সকল নোটস দেই সেই গুলো ভালো ভাবে পড়তে হবে।
রিসেন্টলি কোন গুলো বিষয় পরিক্ষায় আসার মত সেই গুলো বিষয় শিক্ষকদের কাছ থেকে দাগায় নেওয়া। সেই বিষয় গুলো বেশি মনযোগ দিয়ে ভালো ভাবে শেষ করা৷
শিক্ষক হলো আমাদের মেন্টর, তাই তার দেখানো পথে চলার চেষ্টা করা। যে কোনো সমস্যা শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা।
পড়ার সময় অবশ্যই লিখতে হবে
আমরা যখন পড়তে বসি, তখন একটানা অনেক সময় নিয়ে পড়ি, এবং পড়াগুলো মনে রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করি।
কোনো বিষয় এ ভালোভাবে পড়ার পর দেখা যায়, কয়েক দিন পর সেই বিষয় টা মনে থাকে না। কিন্তু কেন এমনটা হয় জানেন কি। এই সমস্যাটা হওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো পড়ার সময় না লিখা।
যখন পড়তে বসবো তখন যদি পড়ার সাথে সাথে লিখার অভ্যাস গড়ে তুলি তাহলে সেই বিষয়টি সহজে ভুলার চান্স কম থাকে।
তাছাড়াও লিখলে যে কোনো কিছু এমনিতেই অনেক দিন মনে থাকে। তাই আপনারা অবশ্যই পড়ার সময় অবশ্যই লিখার চেষ্টা করবেন। তাহলে পড়াও ভুলে যাবেন কম, রেজাল্ট ও ভালো করতে পারবেন।
গ্রুপ স্টাডি করতে হবে
যে সকল বিষয় এ সমস্যা বের হবে সেগুলো বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে পড়তে হবে। আপনি যে বিষয় দূর্বল, দেখবেন আপনার বন্ধু এই বিষয় এ অনেকটা দক্ষ। তখন দুজনেই একে অপরের কাছ থেকে এই সমস্যার সমাধান গুলো করে নিতে পারবেন।
তাই আপনারা অবশ্যই গ্রুপ স্টাডি করে পড়ার চেষ্টা করবেন। এতে আপনারা অনেক অজানা প্রশ্ন জানা হবে, সাথে অনেক সমস্যার সমাধান ও হবে।
শেষ কথা
প্রত্যক মানুষেরই পড়ার সময় আলাদা হতে পারে। এতে সমস্যার কিছু নেই। যে যখন বেশি মনযোগ দিয়ে পড়তে পারে সেই সময় এ পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে চেষ্টা করবেন একই সময়ে প্রতিদিন পড়তে বসার। তাহলে পড়ার প্রতি মনোযোগ বারবে সাথে পড়ার জন্য নিয়মিত সময় ও পাবেন।
তাই পড়াশোনাই প্রতি আপনাদের সিরিয়াস হতে হবে। পড়াশোনার প্রতি অধ্যাবসায়ী হতে হবে৷
আপনার রেজাল্ট আপনাকেই করতে হবে, কেও আপনার রেজাল্ট করে দেবে না। তাই নিজের ক্যারিয়ারকে উন্নত ও ভালো করতে চাইলে, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রচুর চেষ্টা ও সাধনাই আপনাকে সাফল্য দেখাতে পারবে। তাই চেষ্টা করতেই থাকুন৷ কোন বিষয় এ দূর্বলতা রয়েছে সেটি খুজে বের করুন।
আশাকরি আমাদের এই আরটিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজ এ পর্যন্তই। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।